সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই কাঠবাদাম খেতে বলেন, একনজরে জেনে নিন আমন্ডের উপকারিতা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
অনেকেই বলেন শরীরে পুষ্টি আর সুস্বাস্থ্যের জন্য কাঠবাদাম বা আমন্ডের জুড়ি নেই।আজকাল পুষ্টিবিজ্ঞানীরাও প্রতিদিন পরিমাপ মত আমন্ড খেতে পরামর্শ দেন। আগে বিশেষ প্রচলন না থাকলেও এখন বাঙালির ঘরে ঘরে এই বাদাম খাওয়ার বেশ চল হয়েছে।কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঠবাদাম বা আমন্ড মূলত মধ্যপ্রাচ্যে উৎপাদিত হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম প্রুনাস অ্যামিগডালাস।
কাঠবাদামের উপকারিতা:
১. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: কাঠবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষত মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ: কাঠবাদামে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে, যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: কাঠবাদামে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৪. হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য: কাঠবাদামে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা হাড় ও দাঁতের গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
৫. ত্বকের স্বাস্থ্য: কাঠবাদামে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে এবং বয়সের ছাপ কমায়।
৬. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

প্রতিদিন কতটা কাঠবাদাম খাবেন?
প্রতিদিন কত গ্রাম বা কটা কাঠ কাঠবাদাম খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা একজন পুষ্টিবিজ্ঞানী বলতে পারবেন। তবে সাধারণভাবে প্রতিদিন গোটা তিনেক কাঠবাদামের খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।কাঠবাদাম কাঁচা বা ভেজে খাওয়া যায়, তবে লবণ বা চিনি মিশ্রিত কাঠবাদাম এড়ানো ভালো।
তবে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, সবার শরীর সমান নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বেশি আমন্ড খাওয়া ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই রোজকার খাদ্যাভ্যাসে এই বাদাম যোগ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন। অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে ক্যালোরি বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। যাদের বাদামে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের কাঠবাদাম এড়ানো উচিত।