বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব যে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে তা জানা ছিল। সোমবার লোকসভার অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই উত্তাপের আঁচ পাওয়া গেল। ফলে বেলা বারোটা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেওয়া হয়। ওদিকে রাজ্যসভায় বিরোধীদের প্রস্তাব স্পিকার গ্রহণ না করায় সভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।
এদিন সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীদের হাতে একাধিক ইস্যু ছিল। যার মধ্যে অন্যতম ভুয়ো ভোটার কার্ড, জাতীয় শিক্ষানীতি বা এন ই পি এবং ওয়াকফ বিল। এছাড়াও বিরোধীরা ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণায় ভারতের অবস্থান, মণিপুরে ফের হিংসা মাথা চাড়া দেওয়ার মতো বিষয়কে সামনে রেখে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে।
অন্যদিকে সরকার চাইছে যে ভাবে হোক কয়েকটি বিষয় সভায় পাশ করিয়ে নিতে। যেমন মণিপুরের জন্য বাজেট। ওই রাজ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে।অমিত শাহ তার অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করেবন।সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নেওয়া।
এদিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই তামিলনাড়ুর সাংসদ জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন সরকার তামিলনাড়ুর প্রতি প্রতিহিংসামূলক ব্যবহার করছে। ২০০০ কোটি টাকার তহবিল তাদের দেওয়া হচ্ছে না। জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্তীও ডি এম কে সরকারের কড়া সমলোচনা করেন। এই বাদানুবাদে সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গগে অন্য কাজ বন্ধ রেখে ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। স্পিকার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলে সভায় হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
তবে রাজ্যসভা এদিন ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার জন্য ধন্যবাদ জানায়।