বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া
সরকারি টাকা কি কর্পূর যে মাঝপথ থেকে উবে যাবে। রাজ্যের অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে দাঁড় করিয়ে এই প্রশ্নের জবাব চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।সিএসটিসি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত আদালত অবমাননা মামলার শুনানিতে আজ এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
এই অবমাননা মামলায় শুক্রবার আদালতে উপস্থিত হন, রাজ্যের অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব প্রভাত মিশ্র, সিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং রাজ্য পরিবহন নিগম ও সিএসটিসি এমপ্লয়ী ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান, রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র।
যে ১৭ জন পিটিশনার এই আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন ইতিমধ্যেই তাদের টাকা রাজ্য অর্থ দফতর পরিবহন দফতরের মাধ্যমে সিএসটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। যদিও গত এক বছর ধরে বহু পরিবহন দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আদালত অবমাননার মামলা এখনো বিবেচনাধীন।
সব মিলিয়ে প্রায় ২৮৬ কোটি টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া রয়েছে সিএসটিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। অবশ্য আদালতে রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব প্রভাত মিশ্র রাজ্য পরিবহন দফতরের কাজের সমালোচনা করে জানিয়েছেন,এ ব্যাপারে পরিবহন দফতর যথোপযুক্ত ভূমিকা পালন করে না। সব বিষয়ে যদি অর্থ দফতরকে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাহলে পরিবহন দফতরের ভূমিকা কি ?
তিনি নিজে একমাস আগে এই বিষয় নিয়ে পরিবহন সচিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন জবাব মেলেনি। যদিও অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাবতীয় টাকা নির্দিষ্ট খাতে অর্থ দফতর পরিবহন দফতরকে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে সিএসটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নির্দিষ্ট খাতে তাদের হাতে টাকা না পৌঁছনোয় প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া রয়েছে। আর এই বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
বিচারপতির প্রশ্ন অর্থ দফতর সমস্ত টাকা নির্দিষ্ট খাতে রিলিজ করে দেওয়ার পরও সেই টাকার হদিশ মিলছে না কেন ? সরকারি টাকা কি কর্পূর যে উবে যাবে ? এভাবে চলতে থাকলে তো এই সমস্যা আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। জটিলতা আরও বাড়বে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত, বলে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।