আজ প্রথম পর্ব
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া
পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত প্রায় বহু প্রজাতির সাপ, মানুষ কে সচেতন করার জন্য, যাতে মানুষ এই আপাত নিরীহ প্রাণীটিকে যেন হত্যা না করেন। আসলে সাপকে যতটা ভয়ঙ্কর প্রাণী মনে করা হয়, সাপ ততটা ভয়ের নয়। বরং বলা যায় খানিকটা নিরীহ প্রাণী সাপ। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত প্রায় বহু প্রজাতির সাপ, তাই ১৬ ই জুলাই দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব সর্প দিবস হিসেবে, মানুষ কে সচেতন করার জন্য, যাতে মানুষ এই আপাত নিরীহ প্রাণীটিকে যেন হত্যা না করেন।
বিশ্বে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, তবে এর মধ্যে বিষধর সাপের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।
আসুন বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপেদের ব্যাপারে জেনে নিই সঠিক তথ্য,
প্রথমে বলি, ইনল্যান্ড তাইপান
মরুভূমির মাঝখানে (কুইন্সল্যান্ড-দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল কান্ট্রি) বাস করা নিভৃতচারী এ সাপকে ফিয়ার্স স্নেক ও বলে। বর্তমানে স্থলভাগের সবচেয়ে বিষধর সাপ এটি। লম্বা গড়ে ১.৮ মিটার, গা বাদামি-হলুদ, শীতকালে গা গাঢ় হয় উষ্ণতা ধরে রাখতে। নিশাচর ইঁদুর-খেকো, মানুষ দেখে পালিয়ে যায়, তবে আত্মরক্ষায় একাধিকবার ছোবল দিতে পারে।
দ্বিতীয়টি, ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক
অস্ট্রেলিয়ার কৃষিজ এলাকা, শহরতলি এমনকি ব্যাকইয়ার্ডেও মেলে এই সাপেদের। এর কামড় খুবই বিপদজনক। এই সাপ দিনের বেলা সক্রিয় থাকে। এক ছোবলে নিউরোটক্সিন-সাপরো-কম্প্লেক্স থ্রোম্বিনের মতো করে রক্ত জমাট বাঁধায়, যার জেরে ছোবল খাওয়া ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে আধা ঘণ্টায়। প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়ায় সর্বাধিক মৃত্যুর জন্য দায়ী এই সাপ। এদের খাবার মূলত ইঁদুর ও ছোট পাখি।
তৃতীয়টি, কোস্টাল তাইপান
উষ্ণ উপকূলজ কুইন্সল্যান্ড উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলস ও পাপুয়া নিউ গিনিতে মেলে। ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা, মাথা লম্বাটে; লাফিয়ে ছোবল দিয়ে বিষ ঢালতে পারে। ত্বরিত স্নায়বিক পক্ষাঘাতেই মৃত্যুর ঝুঁকি ১৯ দিনে পোষা তাইপানের বিষে এক শিশুর মৃত্যুকাহিনি চিকিৎসকদের শিক্ষানবিশ কেসস্টাডি হয়ে আছে।
আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব