Upload By K. Halder at 21th March 2025, 04:19 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফের এক সমীক্ষায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে রিপোর্টে টাকা পয়সা খরচের বিষয়ে ভারতের স্থান আরও নীচে নেমে গেল। আইএমএফ ১২৫ টি দেশের মধ্যে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখানে ভারতের জায়গা হয়েছে ৫৪ নম্বরে। আগে ছিল ১৪ নম্বরে।
এই সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে আসতেই ফের মোদী সরকারের আর্থিক পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ইউপিএ আমলে ২০১২ সালে ভারতের স্থান ছিল ১৪ নম্বরে, আর মোদীর জামানায় ২০২৩ সালে তা নেমে এসেছে ৫৪ তে।
ক্ষমতায় আসার পর মোদীর শ্লোগান ছিল নাখায়ুঙ্গা না খানে দুঙ্গা। আইএমএফের রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই শ্লোগানের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন ন্যাশানাল ইন্সস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি এক রিপোর্ট পেশ করেছে। তারা বলেছেন দেশের মানুষের করের টাকা কীভাবে খরচ হয় তা যতটা সম্ভব মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় সেটাই আর্থিক স্বচ্ছতা। ১৯৯৭ সালে এশিয়া জুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দেয়। তারপরেই আইএমএফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও মনে করে দেশের অগ্রগতিতে আর্থিক স্বচ্ছতার দরকার আছে।
এদিকে ইন্সস্টিটিউত অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি তাদের রিপোর্টে বলেছে সরকারের অভ্যন্তরে যে আর্থিক আদান প্রদান হয় তাতেও স্বচ্ছতার অভাব আছে। তারা আরও বলেছে সরকারের কিছু গোপন ঋণ আছে বা তারা চুপি সারে ঋণ নেয়। এইসব কথা প্রকাশ্যে আসে না। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে একেই অস্বচ্ছতা বলা হয়েছে। যদিও ২০২১ সালে ভারতের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। সেই সময় দেশের স্থান ছিল ৭১। এখন যা ৫৪য় এসে দাঁড়িয়েছে।