টাকার পিছনে ছুটতে গিয়েই বিপথে চলে যান জয়ন্ত

পীযূষ চক্রবর্তী,
টাকার পিছনে ছুটতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন হুগলির চণ্ডীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জয়ন্ত পাল। এর আগেও তিনি চণ্ডীতলা থানায় ওসি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলেই চণ্ডীতলা জুড়ে মাটি মাফিয়াদের সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, শাসকদলেরও অনেক নেতা একই অভিযোগ করেছেন। শুধুমাত্র টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বাঁকুড়া থানার প্রাক্তন আইসি অশোক মিশ্রের মতোই জয়ন্তও মাফিয়াদের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র চণ্ডীতলাই নয়, তিনি সিঙ্গুর বা ডানকুনি থানার ওসি থাকাকালীনও ওই সমস্ত এলাকায় বেআইনি কাজকর্ম রমরমিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ডানকুনি থানা এলাকায় থাকাকালীন তার আমলে বেআইনিভাবে মধুচক্র, সাট্টা ও জুয়ার কারবার, বেআইনি মদের ব্যবসা রমরমিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। সিঙ্গুরেও তার আমলে এই সমস্ত ব্যবসাগুলো জোরকদমে চলত বলে এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে। ঐতিহাসিক সিঙ্গুরে জয়ন্ত ওসি থাকাকালীন বেআইনিভাবে মাটির কারবারও চলতে থাকে বলে অভিযোগ।
তবে থানা বদল হলেও পরিবর্তন হননি জয়ন্ত। যতদিন গেছে ততই তার টাকার চাহিদা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা, ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা, শাসক দলের বিরুদ্ধগোষ্ঠীকে হুমকি দেওয়া সহ বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বছর বেআইনি মাটি কারবার নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে হুগলি জেলা। তবুও চণ্ডীতলাতে বেআইনি মাটির কারবার বন্ধ হয়নি। গত বছরও যেভাবে চলেছে ঠিক সেভাবেই এবছরও বেআইনিভাবে রমরমিয়ে চলছে মাটির কারবার। যারা প্রতিবাদ করে তাদেরই থানায় নিয়ে এসে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রতিবাদীদের। পুলিশের একাংশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই থানা মাফিয়াদের আখড়ার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
চণ্ডীতলার তৃণমূল নেতা সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই জয়ন্ত পাল এই এলাকায় বেআইনি কাজের সিন্ডিকেট চালাচ্ছিলেন। মাটি মাফিয়াদের রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বেআইনি কাজের, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন।