বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ঘরের মাঠে কেকেআর হারল। ইডেনে এদিন ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্ট তিন উইকেটে ২৩৮ রান তোলে। নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী অপরাজিত ৮৭ রান মাত্র ৩৬ বলে সাতটি বাউণ্ডারি এবং আটটি বিশাল ছ চক্কায় সাজানো। পুরানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। মুম্বইয়ের পরে কলকাতাতেও সফল মিচেল মার্শ। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজালেন ছয়টি বাউণ্ডারি এবং পাঁচটি ওভার বাউণ্ডারিতে।
মার্করাম ২৮ বলে ৪৭ রানে পুরো দলের ব্যাটিংয়ের মারকুটে মেজাজে। শিকার সংখ্যা দুই, তাও ৫১ রানের বিনিময়ে। বরুন চক্রবর্তী,সুনীল নারাইনের বোলিং ক্যারিসমা সুপারজায়ান্টের ব্যাটার দের মারের সামনে অতি সাধারন মনে হলো।
কুড়ি ওভারে ২৩৮ রান টপকে জেতার জন্য, কেকেআর শুরুটা যথেষ্ট আশা জাগিয়ে করেছিল। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ২৩৪ রানে থামল ইনিংস,চার রানে হারলো নাইটরা।
কুইন্টন ডি কক নয় বলে ১৫ রানে ফিরে যান। সুনীল নারিন বল হাতে ব্যর্থ হলেও ব্যাটে জ্বলে উঠলেন। ১৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস চারটি বাউণ্ডারি এবং দুটো ছক্কায় সাজালেও উইকেট ছুঁড়ে দিলেন দ্বিগবেশ সিংয়ের নিরীহ বলে।
চলতি আইপিএলে নাইট সংসারে নতুনভাবে মেলে ধরছেন ব্যাটসম্যান অজিঙ্কে রাহানে। ৩৫ বলে ৬১ রান রাহানের ইনিংস আটটি চার এবং দুটো ছক্কায় সাজানো। তবে তাও শেষ হল শার্দূল ঠাকুরের নিরীহ বোলিংয়ে। শততম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শার্দূল। দলের হয়ে ৫২ রানে দুই উইকেট নিলেন। রাহানেকে আউট করার ওভারে পাঁচটি ওয়াইড বল করেছেন তিনি।
লক্ষ্ণৌ বোলাররা মঙ্গলবার মোট ১৯টি ওয়াইড বল করেছে। অর্থাৎ উনিশটি রান এবং তিনটি ওভার অতিরিক্ত পেয়েছে নাইটরা। তবুও চার রানে হারতে হলো, যার কারন পরিকল্পনা এবং প্রয়োগের অভাব।
ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে সঙ্গী করে রাহানে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নাইট নেতার ফিরে যাওয়ার পরে ছন্দ পতন। ম্যাচে ফেরে লক্ষ্ণৌ। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৯ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান। ছয়টি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকালেও প্রয়োগের অভাবে নিজে আউট হলেন এবং দলকে ডোবালেন।
চাপের মুখে রামনদীপ সিং কিংবা রঘুবংশী অঙ্গকৃশ আন্দ্রে রাসেল ব্যর্থ। রিঙ্কু সিং একাকুম্ভ হয়ে রইলেন লক্ষ্ণৌর বিরুদ্ধে ব্যাটিং যুদ্ধে। দিনের শেষে ১৫ বলে ৩৮ করেছেন। শেষ বলেও ছয় মারলেন তা সত্ত্বেও জয় এলো না। রিঙ্কু এবং হর্ষিত রানা যখন শেষ ওভারে ব্যাট করছিলেন তখনও রান নেওয়ার ক্ষেত্রে অঙ্কের গোলমাল।
নাইটদের হার মাঠে বসে দেখলেন লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্ট মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তার অনুরোধে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের পাচ ফুটবলার ইডেনে খেলা দেখতে এসেছিলেন।
