পীযূষ চক্রবর্তী,
ফের মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। তাও আবার হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। শনিবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগের কাছে ডিউটি পড়েছিল অরুণ কুমার দাসের। কিন্তু ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হঠাৎই তাকে মেঝেতে লুটিয়ে পড়তে দেখেন হাসপাতাল চত্বরে থাকা রোগীর আত্মীয়রা। তারপর তারা কাছে গিয়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে অনুভব করেন মুখ দিয়ে মদের গন্ধ বের হচ্ছে ওই পুলিশকর্মীর। ক্রমাগত ভুলভাল বকছিলেন অরুণ। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা অন্য পুলিশ কর্মীরা। তারাই অরুণকে সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান। হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাও আবার ইমার্জেন্সি এলাকাতে কিভাবে একজন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে পারেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে এই ঘটনার জেরে ওই পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন বিভাগীয় অফিসাররা। শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগেই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাওড়ার শিবপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হুগলির চণ্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল। তখনও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা ফের একবার পুলিশের ভাবমূর্তিতে কালি ছেটালো বলেই মনে করছেন সকলে।
কলকাতা মেডিকেল কলেজে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি পুলিশ কর্মীর
