দক্ষিন কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন ডেমোক্র্যাট দলের লি জ্যা মিয়ং

Published By Subrata Halder, 04 June 2025, 02:10 p.m.

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডেমোক্র্যাট দলের লি জ্যা মিয়ং। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এবং মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য কিম মুন সুকে হারিয়ে জয় লাভ করেছেন।
২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের ঘটনার আগে লি জ্যা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ
মিয়ংয়ের ক্ষমতায় আসার পথে ছিল নানা বাধা ও জটিলতা।চলমান একাধিক মামলার পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের তদন্তে তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীপদ বাতিল হতে যাচ্ছিল। তখনই একটি সাংবিধানিক সংকট বদলে দিয়েছে সবকিছু।
সেই রাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টাই নতুন এক রাজনৈতিক গতিপথ তৈরি করে দেয়। যা লির ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করে।
ঠিক এর ৬ মাস পর দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী লিকে বিজয়ী করে। যিনি কিশোর বয়সে ছিলেন একজন শ্রমিক, সেখান থেকে এখন পৌঁছলেন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে।
নির্বাচনের আগেই জনমত যাচাইয়ে লির এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত ছিল। আর নির্বাচনের দিন ভোরেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ায় লির সামনে থাকা শেষ বাধাও কেটে যায়।
২০১০ সালে তিনি সিওংনামের মেয়র নির্বাচিত হন এবং বিনামূল্যে কল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজ করেন। ২০১৮ সালে বৃহত্তর গিয়ংগি প্রদেশের গভর্নর হন।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় তিনি সর্বজনীন সহায়তা প্রদানের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আলোচিত হন। সে সময় তিনি ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। যদিও ০.৭৬ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এক বছরেরও কম সময় পর ২০২২ সালের আগস্টে তিনি দলের নেতা নির্বাচিত হন ও কিছুটা নিরাপদ কৌশলও অবলম্বন করেন।
তাকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক বিতর্কও ছিল। ২০০৪ সালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, আত্মীয়দের সঙ্গে বিরোধ, ২০১৮ সালে পরকীয়ার অভিযোগ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো তুলনামূলক রক্ষণশীল দেশে এ ধরনের বিতর্ক যে কারো জন্য বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু এই সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে জিতলেন তিনি।

02:11