নির্মলা কে উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে খোঁচা মমতার, নির্বাচন জয়ের কৌশল নিয়ে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
গতকালই বাংলার অর্থনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জবাব দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার বাজেট পেশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এর পাল্টা জবাব দিলেন, বাংলার বিষয়ে বলার আগে নিজেদের দুর্নীতি সামলাতে বলুন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংবাদমাধ্যম আগামী কাল কি বলবে তা ঠিক করে দেয়। মিডিয়াকে এম খুলতে দেওয়া হয় না। আপনাদের ঠিক করে দেওয়া হয় কোনটা যাবে কোনটা যাবে না। মহাকুম্ভ নিয়েও আপনারা সত্যিটা বলতে পারেন নি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্মলা দেবী, আপনি বাংলাকে নিয়ে কম ভাবুন। আপনার উজালার কি হলো! নির্বাচনের আগে আপনি উজালা করেছেন। এখন সেই উজালার ভবিষ্যৎ কি! আপনি তো কিছুই করেন না শুধু ভাষণ দেন। কোথায় গেল সব টাকা। এখন তো শুধু বাংলা নয়, গুজরাটও বলছে তাদের রাজ্যকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আপনি সবকিছুতেই কন্ট্রোল করতে চাইছেন। আর গণতন্ত্রকে বুলডোজ করতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে বুলডোজ করতে চাইছেন।
এদিন বিধানসভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের সাহায্য নিয়ে অনলাইনের সাহায্যে ভুতুরে ভোটারদের নাম তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে বিহারের বাসিন্দাদের নাম তুলছে একটি ভুতুরে রাজনৈতিক দল। কেন ভোটার কার্ডে নাম তোলার কাজ অনলাইনে হবে। সাধারণ মানুষকে ভোটার কার্ডে আধার কার্ডের নাম তুলতে গেলে সশরীরে হাজির হতে হয়। কেন সেখানে এই কাজ অনলাইনে করা হবে। বিজেপির ৪০ লক্ষ ভোট বাড়লো কি করে মহারাষ্ট্রে। দিল্লিতেই বা আপনারা কি করেছেন! একদিন না একদিন সত্য বেরোবেই।
আরো ভয়ংকর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা অংক কষে দেখে নিয়েছি। এখানেও বাবুরা এসে বসে আছেন প্রত্যেকটা বিধানসভায়। সর্বত্র থেকে ত্রিশ হাজার জনের নাম ঢোকানো হবে বাইরে থেকে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবেন সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে। তারা গার্ড দেবেন, আর বাইরের লোকেরা এসে, যারা বাংলার ভোটার নয় তারা এসে ভোট দেবে। এই পরিকল্পনা এখানে আমরা ভেস্তে দেবো। অন্য রাজ্য যেটা পারে না বাংলা পারে। কারণ বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে।