Published By Subrata Halder on 13 April 2025 at 08:30pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
রেডিও হোক কিংবা দূরদর্শন, খেলার ধারা বিবরনী দেবেন পুরুষরা। ক্রিকেট হোক কিম্বা ফুটবল সবেতেই পুরুষদের দাপট। মহিলারা সেখানে কোথাও নেই। ধারনা বদলায় ২০০৩ সালে। সেবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ধারাভাষ্যে বৈচিত্র আনতে সামনে আনা হয় মন্দিরা বেদীকে।
মন্দিরা বেদী তখন বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ। সেই পরিচিতিকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঐ পর্যন্ত। তারপরের ঘটনা কেউ জানতে পারেন নি। আপাদমস্তক পুরুষ নিয়ন্ত্রিত একটা জায়গায় একজন মহিলার জায়গা করে নেওয়া কি এত সহজ? মোটেও না, তা সে তিনি যতই বিনোদন জগত থেকে আসুন না কেন।
মন্দিরার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন মন্দিরা বেদী। তিনি বলেন, প্রথম দিকে তার কথা কেউ গুরুত্বই দিত না। সম্পুর্ন এড়িয়ে যেত। অনেক সময়ই হয়েছে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তিনি যা বলছেন তার যে কোনও গুরুত্ব আছে তা কোনও পুরুষ মনেই করত না।
মন্দিরা বলেন, খুব অপমানিত লাগত, ভেঙে পড়তাম। এরপরেই নিজেকে তিনি তৈরি করেন। তিনি বলেন তখন থেকেই তার মধ্যে নাছোড়বান্দা মনোভাব তৈরি হয়। মানে যতক্ষণ কেউ তার প্রশ্নের উত্তর না দিচ্ছেন ততক্ষণ তিনি একই প্রশ্ন করেই যেতেন। কারন তিনি মনে করতেন তার প্রশ্ন হয়ত লাখ লাখ দর্শকেরও হতে পারে। এইভাবে লড়াই করে নিজের প্রশ্নের জবাব আদায় করেছেন, অর্জন করেছেন মহিলা ক্রীড়া ভাষ্যকারের মর্যাদা। ২০০৩ থেকে ২০২৫ লড়াইটা সহজ ছিল না। হাসিমুখে জানিয়েছেন মন্দিরা।
তার বিশ্বাস আজও মেয়েদের অনেক নিষেধের বেড়া টপকাতে এই অদম্য মনোভাবটাই আসল শক্তি।