Upload By K. Halder at 22th March 2025, 02:20 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সাধারণ মানুষের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি যাঁদের হাতে আজ তাঁরাই স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে।ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট বা ইউডিএফ এবং মেডিকেল ডায়ালগস-এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক অনলাইন সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্যই। এই সমীক্ষা জানাচ্ছে ৮৬ শতাংশ তরুণ চিকিৎসক ও চিকিৎসা ক্ষেত্রের শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে।দীর্ঘ ডিউটির চাপে ভেঙে পড়ছেন চিকিৎসকরা।অতিরিক্ত কাজের সময় ক্ষতি করছে তাদের মনের সুস্থতার।
ভারতজুড়ে করা সমীক্ষায় প্রকাশ, দেশের ৮৬ শতাংশ তরুণ চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী মনে করছেন, অতিরিক্ত ডিউটি আওয়ার বা কাজের চাপের কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এতে রোগীদের সুরক্ষাও বিঘ্নিত হচ্ছে।
এই অনলাইন সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ১২ থেকে ২৪ মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১,০৩১ জন এমবিবিএস ইন্টার্ন এবং পিজি মেডিকেল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে নানা তথ্য। ৬২.১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তারা প্রতি সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন। মাত্র ১৮.৯১ শতাংশ নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটি পান, আর ৫৮ শতাংশ এর বেশি জানিয়েছেন, তারা নির্ধারিত পেইড বা একাডেমিক ছুটি পান না।
অনেকে চাপ না নিতে পেরে কোর্স ছেড়ে দেওয়ার পথে হাঁটেন। এতে আবার তৈরি হয় আর্থিক চাপ।৪৪.৯১ শতাংশ জানিয়েছেন,কোর্স ছাড়ার জন্য ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১৩.০৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের জরিমানার অঙ্ক ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।
কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কারা? দেখা যাচ্ছে সুপার-স্পেশালিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৬.৭৪ শতাংশ প্রতি সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপের প্রভাব রয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে এবং তা হল ৯০.৫৭ শতাংশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জরিমানার হার বেশি।দেখা গিয়েছে ২৬.৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রে তা ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।
চিকিৎসকরা আজ অবিরাম শিফট, বিষাক্ত কর্ম-সংস্কৃতি এবং কোর্স ছাড়লে কোটি টাকার জরিমানার মতো ব্যবস্থার চাপে ভেঙে পড়ছেন, বাস্তব এই সত্যিটাই এই সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ইউডিএফ-এর প্রেসিডেন্ট ডা. লক্ষ্য মিত্তল।
এই তথ্যগুলো শুধুই সংখ্যা নয়, এগুলো নিঃশব্দ মহামারির দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সতর্কতামূলক সংকেত বলে জানিয়েছেন সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট এবং মেডিকেল ডায়ালগস চেয়ারম্যান ডক্টর প্রেম আগরওয়াল।