ফুটপাথ নীতি তৈরিতে রাজ্যগুলির কাছে তথ্য চাইল সড়ক পরিবহন মন্ত্রক

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,

ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া

পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক দেশের সমস্ত রাজ্যের জন্য একটি অভিন্ন ফুটপাথ নীতি তৈরি করতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাফিক এই নীতি তৈরির জন্য সমস্ত রাজ্য গুলির কাছে ফুটপাথ, ফুট ওভারব্রিজ ও সাবওয়েগুলির বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কত ফুট প্রস্থের রাস্তায় কতটা অংশ পথচারীদের জন্য ফুটপাথ হিসেবে নির্দিষ্ট থাকবে তা নতুন নীতিতে স্পষ্ট করা হবে। যা দেশের সমস্ত রাজ্যেই প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি, কোথায় কোথায় ফুট ওভারব্রিজ বা সাবওয়ে প্রয়োজন, তার পরিকাঠামোগত বিশ্লেষণও রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই করা হবে।

এরাজ্যের সরকারের কাছ থেকেও একই মর্মে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। পূর্ত, পঞ্চায়েত ও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর যৌথ ভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি খসড়া কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে । বাকি দুই দফতরকে শীঘ্রই বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের এই তৎপরতার পেছনে আছে সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা। সম্প্রতি বিচারপতি অভয় ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পথচারীদের নিরাপদে চলাফেরা করার অধিকার সংবিধানের ২১নং অনুচ্ছেদ অনুসারে মৌলিক অধিকার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বহু শহরে ফুটপাথ নেই, আর যেখানে আছে, সেখানে তা হকারদের দখলে চলে যায়। পথচারীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য হন ও তারফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ মাসের মধ্যে রাজ্যগুলিকে পথচারী সুরক্ষা নিয়ে নিজস্ব গাইডলাইন তৈরি করে আদালতে জমা দিতে হবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই নগরোন্নয়ন, পূর্ত এবং পঞ্চায়েত দফতরকে তাদের নিজস্ব ফুটপাথ নীতির খসড়া পাঠাতে বলা হয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতর একটি খসড়া নীতি পাঠিয়েও দিয়েছে কেন্দ্রকে। প্রশাসনের একাংশের মতে, শুধু নীতি থাকলেই চলবে না, বাস্তবায়নের দিকেও কড়া নজরদারি চালাতে হবে। কারণ, ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান চালালেও তা দীর্ঘমেয়াদি হয়নি। নয়া জাতীয় নীতিতে তাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে, কত চওড়া রাস্তার কতটা অংশ পথচারীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে, কোথায় কোথায় ফুট ওভারব্রিজ বা সাবওয়ে নির্মাণ আবশ্যক।

10:31