Published By Subrata Halder on 4th April 2025 at 19:10pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কায় নড়েচড়ে বসল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। সোমবার আইএসএল সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফের জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে খেলা মোহনবাগানের। ওই ম্যাচে দুগোলের ব্যবধানে জিতলে তবেই ফাইনালে যেতে পারবে সবুজ মেরুন। শুক্রবার কলকাতায় ফিরে, শনিবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়বে সবুজ মেরুন। তার আগে হোসে মোলিনার ভাবনায় আপুইয়া এবং মনবীর সিংয়ের চোট। প্রথম একাদশের দুই গুরুত্বপূর্ন ফুটবলারের চোটের ফলে পরিকল্পনায় বদল আনতে হয়েছিল। তা যে কাজে আসেনি বৃহস্পতিবার প্রমাণিত। এবার ডু অর ডাই ম্যাচ। তাই দুই ফুটবলারকে যেকোনও মূল্যে ফিট করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন ফিজিওরা। মনবীর এবং আপুইয়ার অনুপস্থিতিতে পরিকল্পনা যে ধাক্কা খেয়েছে তা মেনে নিয়েছেন সবুজ মেরুন কোচ। বলেছেন, “মনবীর, আপুইয়া না থাকায় পরিকল্পনায় বদল আনতে হয়েছে। তবে যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছিলাম, তাতে খারাপ হয়নি। মনবীর খেললে যে কৌশলে খেলি, সহাল খেললে তো আর সে রকম হবে না। অন্য ভাবে আক্রমণে উঠতে হয়। তবে যে রকমই খেলে থাকুক আমার দল, আমি খুশি। ২০-২৫ দিন পর ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ছেলেরা। সেই তুলনায় মোটেই খারাপ খেলেনি। দলের পারফরম্যান্সে খুশি। যদিও দুগোল খেয়ে ভাল লাগেনি। তবে এগিয়ে যেতে হবে। বিধাননগরে সম্পুর্ণ অন্য খেলা খেলবে দল।

সোমবার ফিরতি লেগের ম্যাচে জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী মোলিনা। পুরো দলের মরিয়া লড়াইয়ের পাশাপাশি গ্যালারির শব্দব্রহ্ম যে প্রতিপক্ষকে বাড়তি সমস্যায় ফেলবে তা জানেন। তাই তিনি বলেছেন, ঘরের মাঠে খেলা আমাদের কাছে চাপের নয়, আনন্দের। ৫০-৬০ হাজার সমর্থকদের সামনে খেলতে দারুন লাগে। তবে পরের ম্যাচেও কোনও চাপ থাকবে না। পরের ম্যাচে আরও ভাল খেলব আমরা। এই পর্যায়ের লড়াই কখনও সোজা হয় না। যদি ওরা তিন গোলে জিতে থাকত, তা হলে হয়তো কাজটা কঠিন হত। এখানে অতটা কঠিন নয় কাজটা। পরের ম্যাচেও আমাদের কৌশল ও পরিকল্পনা প্রায় একই থাকবে। তবে আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে।
গোটা আইএসএল জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলে এসে নকআউটে হারের ধাক্কা। যার ফলে চাপ যে বেড়েছে তা অস্বীকার করেননি কোচ,এই পর্যায়ের ফুটবলে সবসময়ই চাপ থাকে বলেন মোলিনা। তার দাবী সব ম্যাচে জিততেই হবে এমন কথা নেই। সারা বিশ্বে কোথাওই এমন হয় না। হারলেও এগিয়ে যেতে হয়। চাপ সবসময়ই থাকে। সেই চাপ সামলেই খেলতে হয়। আমরা আজ জিতিনি ঠিকই। কিন্তু আমাদের পরের ম্যাচে জিততে চেষ্টা করতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা জয়ে ফিরব এবং ফাইনালে উঠব।
এদিকে জামশেদপুরে খেলা দেখতে গিয়ে সমর্থকদের পুলিশের লাঠিপেটা খাওয়ায় ক্ষুব্ধ মোহনবাগান ক্লাব কতৃপক্ষ। আহত চারজন সমর্থকের সঙ্গে দেখা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন সচিব দেবাশিস দত্ত। এবার বিষয়টি নিয়ে এফএসডিএল এবং ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিচ্ছে মোহনবাগান। এমনকি দর্শকদের নিরাপত্তার অভাব নিয়েও ফেডারেশনের দ্বারস্থ হচ্ছে ক্লাব। প্রসঙ্গত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আগে একইভাবে পুলিশি অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিল।
