উপদ্রুত গাজায় শুধু ত্রাণ সংগ্রহে ছশোর বেশি মৃত্যু

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,

ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া


অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আজ সকালে ইজরায়েলি বিমান হানায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আরও ২০ জন মারা মৃত্যু হয়েছে সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় গুলি বিদ্ধ হয়ে। একটি হাসপাতালের মর্গ সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা কনভয় ও বিতরণকেন্দ্রের কাছে অন্তত ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইসব বিতরণকেন্দ্র পরিচালনা করছিল একটি যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েল সমর্থিত সংস্থা জিএইচএফ। সংস্থাটি মে মাসের শেষ দিক থেকে তাদের ত্রাণ বিতরণ কাজ শুরু করে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। তবে তিনি আরও বলেন, এটা স্পষ্ট যে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্য বিতরণকেন্দ্রে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গোলা ও গুলি চালিয়েছে।

নাসের হাসপাতাল সূত্রের খবর শুক্রবারের বিমান হামলায় মৃতদের মধ্যে আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে। যারা গুলিতে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে দুজন রাফাহর কাছে সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি ১৮ জন মারা গেছেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণবাহী ট্রাকের কাছে সাহায্য নিতে গিয়ে।

ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।

তবে, ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, উত্তর গাজায় তাদের একজন সেনা নিহত হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে। যুদ্ধ চলাকালে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ৮৬০ জনের বেশি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৪০০ র বেশি মারা গেছে গাজায় স্থলযুদ্ধে।

এই আবহেই যুদ্ধ বন্ধে নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগ চলছে। হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় উপস্থাপিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তারা অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, ইজরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি হামাসকে দ্রুত প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে বলেছেন, নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে

03:02