বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
মেথি ভেজানো জল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেথির উপকারিতা এত বেশি যে কল্পনা করা যাবে না। এটি নিয়মিত খেলে শুধু স্বাস্থ্যই ভাল থাকবে এমন নয়। ত্বক, চুলও ভাল রাখে। পাশাপাশি হজম ক্ষমতাও বাড়ায়। নিচে মেথি ভেজানো জলের কিছু উপকারিতা –
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং গ্লুকোজ শোষণ কমাতে পারে।
হজমশক্তি উন্নত করে – মেথি ভেজানো জল হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে – মেথিতে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমাতে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে – মেথি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী – মেথি ভেজানো জল ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো – মেথি চুল পড়া কমাতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে – মেথিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা জয়েন্টের ব্যথা, গাঁটের ফোলা এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বাড়ায় – মেথিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী – মেথি ভেজানো জল মহিলাদের হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
লিভার ডিটক্সিফিকেশন – মেথি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? – ১ চা চামচ মেথি বীজ রাতভর এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন এবং মেথি বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন।
সতর্কতার বিষয়টি খেয়াল রাখুন
অতিরিক্ত মেথি খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের মেথি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মেথি ভেজানো জল নিয়মিত পান করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উপকার বয়ে আনতে পারে। তবে যেকোনো নতুন খাবার বা পানীয় গ্রহণের আগে শরীরের অবস্থা বুঝে নেওয়া জরুরি।