বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
১৯৮৫ সালের ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন নীতা দালাল ও মুকেশ আম্বানি। দেখতে দেখতে কেটে গেছে ৪০ বছর! সেই হিসেবে ২০২৫এর নারী দিবসই নীতা-মুকেশ আম্বানির ৪০তম বিবাহবার্ষিকী।
নীতা আম্বানি নিজের বিয়ের দিনে ছিমছাম অথচ মার্জিত সাজে সেজেছিলেন। তাঁর নববধূর সাজ ছিল আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক, যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়াও ছিল। তিনি পরেছিলেন সূক্ষ্ম টাই-অ্যান্ড-ডাই বাঁধনির কাজ করা দুটি শাড়ি।পানেতার শাড়ি ও ঘরচোলা শাড়ি।প্রসঙ্গত ঘরচোলা ও পানেতার দুটিই গুজরাটি বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পানেতার সাধারণত কনের পরিবারের উপহার হিসেবে আসে, আর ঘরচোলা বরের পরিবারের তরফ থেকে দেওয়া হয়।
নীতা আম্বানি একজন প্রশিক্ষিত ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। ১৯৮৪ সালে তাঁর নাচের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানির মা কোকিলাবেন আম্বানি ও বাবা ধীরুভাই আম্বানি। এরপরই কোকিলাবেন সরাসরি নীতার বাবাকে ফোন করে মুকেশের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন। জানা যায়, এই প্রস্তাবে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন নীতার বাবা, কিছুটা দ্বিধাতেও ছিলেন তিনি।
পরে একদিন মুম্বইয়ের পেডার রোডে গাড়ি চালানোর সময় মুকেশ হঠাৎ করেই নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেসময় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামিয়েছিলেন তিনি। চারপাশে হর্নের আওয়াজ, জনতার চিৎকারের মধ্যেই মুকেশ অপেক্ষা করছিলেন নীতার উত্তরের জন্য। শেষমেশ, নীতার উত্তর ছিল— ‘হ্যাঁ!’।এই বিশেষ মুহূর্তের কথা এক সময় সিমি গারেওয়ালের টক শোতে এসে নিজেই জানিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি।আজ ৪০ বছর পরেও নীতা ও মুকেশ আম্বানি ভারতের সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম।
৪০ বছর আগে এক নারী দিবসেই বিয়ে হয়েছিল মুকেশ ও নীতা আম্বানীর
