Published By Subrata Halder on 4th April 2025 at 12:15pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তে রামেশ্বরম দ্বীপের সঙ্গে সংযোগকারী ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক পাম্বান সেতুর বদলে গড়ে উঠেছে নতুন পাম্বান সেতু। মণ্ডপম রেলওয়ে স্টেশন এবং রামেশ্বরম দ্বীপের মধ্যে এই নতুন রেলওয়ে সমুদ্র সেতু কেবল পুরাতন পাম্বান সেতুর বদলে তৈরি হওয়া শুধু একটা ব্রিজ নয়, এটা হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের একটা বিস্ময়। সমুদ্রের উপর তৈরি হওয়া নতুন সেতুর উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন। ২.০৭৮ কিলোমিটার এই নতুন সেতু হয়ে উঠেছে ভারতের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্পগুলোর একটি।

মূল পাম্বান সেতু, ১৯১৪ সালে তৈরি হয়েছিল। এটাই ছিল ভারতের প্রথম সমুদ্র সেতু। ২.০৭৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সেতু তামিলনাড়ুর মূল ভূখণ্ড (মণ্ডপম শহর) থেকে রামেশ্বরম দ্বীপকে জুড়ে দিয়েছিল। এর শের্জার রোলিং লিফট স্প্যান জাহাজ চলাচলের জন্য নিচ দিয়ে পথ করে দিত। রামেশ্বরমের পবিত্র রামনাথস্বামী মন্দিরে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের জন্য এই সেতু পরিবহন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। শেষ দিকে রুগ্ন হয়ে পড়ায় ২০২২ সালে সেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর পরেই ভাবা হয় নতুন পাম্বান সেতুর কথা। রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বাস্তবে রূপায়িত করার দায়িত্বে এগিয়ে আসে। নবনির্মিত সেতুর এই অংশের প্রযুক্তি চমকে দেওয়ার মতো। এই ব্রিজই হল প্রথম সমুদ্র সেতু যাতে আছে ৭২ মিটার ভার্টিকাল লিফট। মোটর এবং ক্রেনের সহজে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে জাহাজ চলাচলের পথ খুলে দেওয়া যায়। নতুন সেতু ঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে ভূমিকম্প সইতে পারে সবই।

আরভিএনএল রেল মন্ত্রণালয়, দক্ষিণ রেলওয়ে, তামিলনাড়ু সরকার এবং অসংখ্য কন্ট্রাক্টর এবং পরামর্শদাতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। এই প্রকল্পে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের ক্রস-ফাংশনাল টিম পাম্বান সেতুকে বাস্তবে রূপ দিতে অবদান রেখেছে। আর এটি গর্বের বিষয় যে নতুন পাম্বান সেতু তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ ভারতীয় উদ্যোগে। ব্যয়ে তৈরি নতুন পম্বন সেতুর হাত ধরে পর্যটন এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলবে বলেও মনে করছে রেল।