Published By Subrata Halder, 01 June 2025, 11:27 a.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয় মানুষকে সচেতন করার জন্য। তামাক সেবনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ধূমপান। কিন্তু এ ধূমপান সরাসরি যেমন ধূমপায়ীকে অসুস্থ করে, তেমনই আশপাশে থাকা মানুষের ও ক্ষতি করে। তাই এক সময় যে সব বলিউড তারকারা ধূমপানে আসক্ত ছিলেন, তারা ধীরে ধীরে এ নেশা ছেড়ে দিয়েছেন।বলছি তাদের কথা যেসব বলিউড তারকারা ধূমপান ছেড়েছেন।
যেসব বলিউড তারকা বেশি পরিমাণে ধূমপান করতেন তাদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন শাহরুখ খান। এক সময় তিনি চেইন স্মোকার ছিলেন । প্রায় কোন সময়ে তাকে সিগারেট ছাড়া দেখা যেত না। কিন্তু নিজের ৫৯ বছরের জন্মদিনে ভক্তদের সামনেই তিনি ঘোষণা করেন, আর ধূমপান করবেন না। শাহরুখ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে ধূমপান করতেন, কিন্তু একদিন নিজেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন, আর বেরিয়ে এলেন তামাকের নেশা থেকে।
বাঙালি অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা নিয়মিত ধূমপানের নেশায় আসক্ত ছিলেন। মাত্রা ছাড়া ধূমপান করতেন। কিন্তু কঙ্কনা নিজের সন্তানের জন্য ধূমপান ছেড়ে দেন। ২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। তারপর গণমাধ্যমের কাছে তিনিই জানিয়েছিলেন, এই মাতৃত্ব তাকে পাল্টে দিয়েছে। এ অভিনেত্রী দ্রুত ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি তামাকের নেশা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। সাইফ আলি খান, এই অভিনেতা ২০০৭ সালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার বয়স মাত্র ৩৬ বছর। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। এরপরই পুরোনো অভ্যাস ভুলে যাওয়া শুরু করেন সইফ। পুরোপুরি ধূমপান ছেড়ে দেন।
অজয় দেবগন: শোনা যায় অজয় স্ত্রী ও কন্যার অনুরোধে ধূমপান ছেড়েছেন। তবে অভিনেতা দাবি করেছেন, নিজের সিদ্ধান্তেই তিনি এ অভ্যাস ত্যাগ করেছেন। এমনকি পর্দায় খুব প্রয়োজন না হলে তিনি ধূমপানের দৃশ্যে অভিনয়ও করেন না। তবে অজয়ের বিরুদ্ধে অন্য মাদকজাতীয় দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকবার।
আমির খান: বড় ছেলে জ়ুনেইদ খানের ছবি লাভিয়াপ্পা মুক্তির আগেই বড় ঘোষণা করেছিলেন আমির। জানিয়েছিলেন ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করছেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ভক্তদের সামনে তিনি স্বীকার করেন, ধূমপান করতে তিনি খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খতি কারক। তাই প্রবীণ নাগরিক হয়ে ওঠার আগেই এই অভ্যাস ত্যাগ করেছেন। এই বছর মার্চে ৬০ বছরে পড়লেন আমির খান।
এমনই আরো অনেকে রয়েছেন যারা একসময় চেইন স্মোকার হলেও নিজেদের চেষ্টায় তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন ও নাগরিকদের অনুরোধ করছেন মাদক বর্জন করার জন্য।