বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর কে রাজ্য সচিবালয় থেকে পৃথক করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ কে চিঠি পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত কে নজির বিহীন বলে উল্লেখ করেছে রাজ্য প্রশাসন। চিঠিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে, আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ কে চিঠি পাঠিয়ে স্বতন্ত্র স্বাধীন একটি পৃথক দফতর তৈরি করতে বলেছে কমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। তাই আর্থিক দিক থেকে ও তাদের রাজ্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে সীমিত আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে হয়। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর কে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অধিনস্ত একটি শাখা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর একজন বিভাগীয় প্রধান সচিবের নেতৃত্বে থাকে। অথচ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মর্যাদা একজন অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের সমতুল্য। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর কে কার্যকরী ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকার কে কতকগুলি পদক্ষেপ অবিলম্বে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রথমত, রাজ্য সরকারের কে অন্য যে কোনো দফতর থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন একটি পৃথক নির্বাচন বিভাগ তৈরি করতে হবে। যার জন্য নির্বাচন বিভাগের একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট থাকা উচিত। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কে নিরপেক্ষ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য মুখ্য নির্বাচনী দফতর কে পূর্ণ আর্থিক এবং প্রশাসনিক স্বায়ত্বশাসন প্রদান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, অন্যন্য রাজ্য সরকারি দফতরের মতই অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধানসচিব এবং সচিব দের সমতুল্য উপযুক্ত আর্থিক ক্ষমতা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে দিতে হবে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে একজন পৃথক আর্থিক উপদেষ্টা নিযুক্ত করা প্রয়োজন যা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে তার দফতরের কাজকর্মের দায়িত্ব কার্যকর ভাবে পালনে সহায়তা করবে।