বঙ্গবার্তা ব্যুরো: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বারংবার তথ্য দেওয়ার পরেও যে বাংলার মানুষ তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলার সুযোগ পেয়ে, সে কথাই তুলে ধরলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
এদিন প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে তাঁকে দ্রুত সাক্ষাতের জন্য সময়ও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স ছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। এই বৈঠকেই দ্বিতীয় বক্তা হিসাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পান বাংলার পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের আমলে বাংলা বঞ্চিত হচ্ছে সেটাই তুলে ধরেন মন্ত্রী। এদিন বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা। জানা গিয়েছে সেখানে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেই প্রদীপ মজুমদার বলেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে কি হবে! এতে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিমবঙ্গ তো চালু প্রকল্পগুলিতেই পয়সা পাচ্ছে না বছরের পর বছর। এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা মানে আশা-আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে বকেয়ার পরিমাণ তুলে ধরে পরিস্থিতির ব্যাখ্যাও করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রদীপ মজুমদারের এ হেন বক্তব্যের পর শিবরাজ সিং নিজেই বলেন, আপনি পরিসংখ্যান দিন। জবাবে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেই রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, আপনার প্রাক্তনীকে ইতিমধ্যেই সমস্ত তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ দেওয়া রয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন ফল মেলেনি। বাস্তব হল এটাই, আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনার সঙ্গে দেখা করাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাজ্যের মানুষের বকেয়া ও প্রাপ্য নিয়ে আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না।
এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে দ্রুত সাক্ষাতের জন্য সময় দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এদিন এই ভার্চুয়াল বৈঠক সম্পর্কে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, বৈঠকে রাজ্যের বক্তব্য খুব মন দিয়ে শুনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবং তার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি যথেষ্ট যৌক্তিক মনে করছেন রাজ্যের দাবি গুলিকে। আর সে কারণেই কালক্ষেপ না করে তাকে সাক্ষাতের জন্য একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। ভার্চুয়াল বৈঠকে রেফারেন্স দিয়েই এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে। মূলত রাজ্যের বকেয়া এবং দাবী দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্যই সময় চেয়েছেন তিনি।
এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, কুড়ি মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে তিনি রাজ্য যে আবাস যোজনার টাকা না পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের মতো করে ১২ লক্ষ বাড়ি প্রকল্পে গরিব মানুষকে টাকা দিচ্ছে সেটাও তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজের সংস্থান করতে রাজ্য যে কর্মশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছে তাও তুলে ধরেন প্রদীপ মজুমদার।