উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস,রাজ্যকে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,


প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমালোচনা করার সময় এখনো যখন মুখ্যমন্ত্রী যা মুখে আসে তাই বলেন, আর তার দল ও সমর্থকরা তওবা তওবা করেন, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু এখন অনেক সংযত ও কৌশলী। রাজ্যের দুর্গাপুরে কয়েকঘন্টার সফরে এসে সেই প্রমাণ রেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদী।

এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়ন,
সাধারণ নাগরিকদের সুবিধার্থে পাইপলাইন গ্যাস চালুর মত প্রকল্প গুলির গুরুত্বের কথা বলেন। তবে ওই মঞ্চেই প্রধান মন্ত্রী বলেন তার মুখ থেকে রাজনৈতিক বক্তৃতা শোনার জন্য দলের মঞ্চে অপেক্ষা করছেন অনেকে। তাই বাকি কথা সেখানেই বলবেন। সরকারি মঞ্চ থেকে দলীয় মঞ্চে আসার সময়প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার উৎসাহ চোখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর।

মঞ্চে দলের রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মিঠুন চক্রবর্তী, মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, হরদীপ সিং পুরি এমন অনেক নেতাই মঞ্চে উপস্থিত।
প্রধান মন্ত্রীকে দলের নেতা নেত্রীরা নানা উপহার দেন।

এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীবলেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি শিল্প বিনিয়োগে বাধা তৈরি করছে। রাজ্যে শিল্প করতে এলে মাফিয়া ট্যাক্স, সিন্ডিকেট রাজ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিনিয়োগ কারীরা ভয় পাচ্ছেন, অনেকে রাজ্য ছেড়েছেন। দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন যে বাংলায় কাদম্বিনী গাঙ্গুলী তৈরি হয়, সেই রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের শিকার হন। আর দোষীদের বাঁচাতে সরকার কে সক্রিয় হতে দেখা যায়। কসবার আইন কলেজে ছাত্রী গণধর্ষনের ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন পরিস্থিতি বদলায়নি।

স্কুল শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ার পিছনে নিয়োগ দুর্নীতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির হাল খারাপ হাওয়ার জন্য রাজ্যের সরকার কেই দায়ী করেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ কারীদের রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দেবার অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও অভিযোগের সমালোচনা করেছে তৃনমূল কংগ্রেস।

23:28