Published By Subrata Halder, 23 May 2025, 07:21 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ইজরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ গাজার নাগরিকদের জন্য পাঠানো ৯০ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী জাতিসংঘের দলগুলির কাছে হস্তান্তর করেছে ইজরায়েলি সেনা অফিসাররা। সীমিত পরিসরে অবরোধ তুলে নেওয়ার তিন দিন পর ত্রাণসামগ্রী ছেড়ে দিল ইজরায়েল। কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলি ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গত দুদিনে অনাহারে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রমজান বার্তা সংস্থা এই তথ্য দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে গাজার ২১ লাখ মানুষ চরম অনাহারের মুখে পড়বে, বাড়বে অনাহারে মৃত্যু। মৌলিক খাবারের ঘাটতি এবং আকাশছোঁয়া দামের কারণে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ সমর্থিত ইনটিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ৫ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে পড়তে পারে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টন খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ৬ হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রস্তুত করে রেখেছে তারা। এই পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করানো সম্ভব হলে উপত্যকার বাসিন্দাদের দুই মাসের খাবার নিশ্চিত হবে।
সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালেই বিভিন্ন বেকারিতে ত্রাণের আটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত একমাত্র পথটিতে নিরাপত্তার অভাবে গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে এত দেরি হলো।
মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ৯৩ টি ট্রাক প্রবেশ করেছে যার মধ্যে ৯০ টি ট্রাক জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবীরা ইজ রায়েলের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছে। বাকি তিনটির ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইজরায়েলি প্রশাসন বলছে, বুধবার এই ৯৩ টি ট্রাকের বাইরে আরও ১০০ টি ত্রাণবাহী ট্রাক কেরেম শালোম দিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে তারা। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন, তার তুলনায় এটি নগণ্য। ২০২৩ সালের ৭ ই অক্টোবর উপত্যকাটিতে আগ্রাসন শুরুর আগে দৈনিক অন্তত ৫০০ ট্রাক করে ত্রাণ প্রবেশ করত। বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ত্রাণ প্রয়োজন। তাই, ১০০ ট্রাক ত্রাণ আসা তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য বিষয় নয়। তবু পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।