বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় শুরু হতে চলেছে দফাওয়ারি ওয়ারি বাজেট অধিবেশন। শুক্রবার এই নিয়ে ছিল কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দফতর গুলিকে নিয়েই বিধানসভায় আলোচনা হবে দ্বিতীয় দফার এই অধিবেশনে। তবে বিধানসভা সূত্রের খবর, এবার পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, পুরসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়ে আলোচনা হলেও আলোচনার সুযোগ থাকছে না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে। ১০ ই মার্চ সভায় শোকপ্রস্তাবের পরে হবে প্রশ্নোত্তর। এরপর বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। সোম থেকে বৃহস্পতি রোজ প্রশ্নোত্তর, মেনশন ও বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির তরফ থেকে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে দপ্তর ধরে ধরে আলোচনার সময় বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিয়ে আলোচনা হয় না। এদিন তার জবাব দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লোকসভায় একটা দুটো বিষয়ের বাইরে ডিমান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। এখানে সরকার যা যা বিষয় নিয়ে আলোচনা চাইবেন তাই হবে। ডিমান্ড নিয়ে আলোচনা হলে অনেক বিষয় যুক্ত থাকে। সরকার যা যা চাইছে তাই নিয়ে আলোচনা হবে। তবে স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিয়ে আলোচনা হবে কিনা। জবাবে অধ্যক্ষ বলেন,
স্বরাষ্ট্র নিয়ে বিধানসভায় নানা সময় আলোচনা হয়। প্রশ্ন আসে তো। বিরোধীদের স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ খন্ডন করে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কিছুই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কার্য উপদেষ্টা কমিটির শেষে ভুতুড়ে ভোটার নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন,ইউনিক নাম্বারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। তারা অ্যালফাবেট কি করে যোগ করল।
কে অধিকার দিল কার্ডে এলফ্যাবেট প্রিফিক্স বসানোর। এখানের সিইও’কে জানানো হয়েছে। তবে এটা কেন্দ্রীয় কমিশনকে করতে হবে। আগের সাদা কালো কার্ড দেখুন, সেখানে বিধানসভা, লোকসভার নাম্বার সহ এপিক নাম্বার থাকত। এখন রাজ্য ভিত্তিক প্রিফিক্স দেওয়া হয়েছে। ইউনিক নাম্বার দিলে এই সমস্যা মিটে যায়। অনলাইনে করাই যায় আবেদন। কিন্তু ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হচ্ছে না। এটার প্রয়োজন আছে। একই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,বারুইপুরে ভোটার বেড়ে গেছে। সমীক্ষা করে দেখেছি। অনেক ভুতুড়ে ভোটার ঢুকেছে। যেভাবে অন্য রাজ্যের ভোটার ঢুকিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়াকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ।
রমজান মাসের কারণে বিকেল চারটের মধ্যে সভা শেষ হবে।
আগামী সপ্তাহে রাজ্য বিধানসভার দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন
