Published By Subrata Halder, 22 May 2025, 08:08 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের মধ্যে সুদীপ কোনার ও ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলকে বিধাননগরে আপাতত ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক আদালত, কলকাতা হাইকোর্টে মৌখিক আবেদন রাজ্যের। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুদীপ কোনার একজন গ্রুপ-ডি স্টাফ। সে কি করছে এই আন্দোলনে? এটা তো শিক্ষকদের আন্দোলন! সে বিকাশভবন তছনছ করেছে। ১৯ জন পুলিশ কর্মী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে এই ঝামেলাবাজদের জন্য। বিধাননগরে থাকেন একাধিক আইনজীবী আমাকে জানিয়েছে, তাদের অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের ওখান থেকে সরিয়ে জায়গা ফাঁকা করা হোক।
রাজ্য এই বিষয়ে একটা আবেদন করতে চেয়েছে এই মামলায়। রাজ্যকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সব পক্ষের আবেদন বিবেচনা করে নির্দেশ দেবেন। আপাতত আগামিকাল পর্যন্ত গতকালকের দেওয়া অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্দোলনের জন্য বিধাননগরের ওই এলাকায় অন্তত ৫৫ টি সরকারি দফতরে কাজকর্মের অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে হাইকোর্ট আন্দোলনকারীদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দিক। অন্যদিকে, মামলাকারী সুদীপ কোনার ও ইন্দজিৎ মণ্ডলের তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র আদালতে আবেদন জানান, আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হোক এবং মামলা ফের কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীস্মবকাশের পরে জুন মাসে শোনা হোক। যদিও বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছেন আগামিকালই তিনি পুলিশের দেওয়া নথি খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেবেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো উপরিউক্ত দুই শিক্ষক আন্দোলনের নেতা বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন। গতকালকেই বিচারপতি ঘোষ মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, সেন্ট্রাল পার্কের ভিতরে আন্দোলনকারীরা রোটেশন অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ জন করে ধর্না আন্দোলন চালিয়ে যাক। বিকাশভবনের সামনে এই ভাবে দিনের পর দিন আটকে রেখে আন্দোলন করায় আদালতেরও অনুমতি নেই।