Published By Subrata Halder on 3rd April 2025 at 07:40pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই হাজার হাজার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের দায় এখন নিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্য কখনও স্বচ্ছতা দেখাতে পারেনি। সেই কারণেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। শুরু থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কখনও বলা হয়েছে সাড়ে চার হাজার, কখনও পাঁচ হাজারের বেশি, আবার কখনও আট হাজার। সিবিআই, রাজ্য সরকার, প্রত্যেকে আলাদা সংখ্যা বলেছে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি ভুয়ো ও প্রতারণায় ভরা। সর্বোচ্চ আদালতের রায় রাজ্য সরকারের বড় ধাক্কা দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট যে ২৫ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছিল, সেই রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অবৈধ।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালের নিয়োগ ছিল বেনিয়ম ও প্রতারণায় পূর্ণ।
২০১৬ য় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তার মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে ১২০-র বেশি পৃথক পিটিশন দায়ের করা হয়। তিন মাসে নতুন নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যারা আগে পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে বয়স ও অন্যান্য শর্তে ছাড় দেওয়ার কথাও বলেছে আদালত।