Published By Subrata Halder on 17 April 2025 at 01:11pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ নতুন লাইন প্রকল্পে টানেল বোরিং মেশিন ভারতের দীর্ঘতম পরিবহন টানেল (T-8) তৈরি করেছে, যা ১৪.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।বুধবার হৃষীকেশ- কার্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের টানেল নম্বর ৮-এর ব্রেকথ্রু অনুষ্ঠান এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল। উপস্থিত ছিলেন ভারতের রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ। এই টানেলের দৈর্ঘ্য ১৪.৫৮ কিমি, যা একে ভারতের দীর্ঘতম পরিবহন টানেলে পরিণত করেছে।
ভারতীয় রেলে এই প্রথমবার হিমালয়ান ভূপ্রকৃতিতে টানেল বোরিং মেশিন সফলভাবে ব্যবহৃত হল। টানেল বোরিং মেশিন একক শিল্ড ৯.১১ মিটার ব্যাসে ১০.৪ কিমি টানেল তৈরি করেছে, আবার নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড পদ্ধতিতে হয়েছে ৪.১১ কিমি। নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড দিয়ে ৬০০ মিটার কাজ করা হয় টানেল বোরিং মেশিন নামানোর জন্য।

এই টানেল নির্মাণ কাজ চলেছে সমান্তরালভাবে ১০টি প্যাকেজে বিভক্ত হয়ে। অতিরিক্ত ওয়ার্ক ফেস তৈরি করে মূল টানেল কাজ দ্রুত শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৯৫ কিমি টানেলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মোট লক্ষ্যমাত্রা ২১৩ কিমি। টানেল নির্মাণে বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতীয় রেলকে। জটিল ভূমিভাগের কারণে বিভিন্ন ধরনের শিলার অস্তিত্ব, স্কুইজিং অবস্থা , গভীর ভূমিধস সম্ভাবনা থেকে গেছে।টানেল বোরিং মেশিনের অবিরাম, নিরবচ্ছিন্ন কাজ করতে গিয়ে স্কুইজিং জোনে যন্ত্রপাতি আটকে পড়ার ঝুঁকি থেকেছে।বর্ষাকাল, বা অন্যান্য মরসুমে যান জট বা অন্য সস্যায় মাল পরিবহণ ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এখনও নিজের লক্ষ্য সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে এই প্রকল্প।২০২০ সালের ২০ শে মার্চ বীরভদ্র থেকে যোগনগরী ঋষিকেশ বিভাগ চালু হয়ে গেছে। টানেলের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের শেষ। এই প্রকল্পে ট্র্যাক বসানো, ইলেকট্রিক্যাল, ওভারহেড ইকুইপমেন্ট ও সিগন্যালিং কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
