Published by Subrata Halder 12th May 2025, 2:43 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে। সোমবার দুই দেশের ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপরেশন আলোচনায় বসছে।কিন্তু পাশাপাশি সম্ভাব্য সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের খাদ্যশাস্য মজুত রাখার জন্য। সেইসঙ্গেই হাসপাতালে রক্ত, ইনজেকশন, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
রবিবার রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক রাজীব কুমার, সমস্ত দফতরের সচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি বলেন আগামী তিন মাসের জন্য অন্যান্য খাদ্য সমেত চাল, ডাল জেলায় মজুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। উনিশে মের মধ্যে আগামী জুন মাসের বরাদ্দ খাদ্যশস্য, যা রেশনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয় সেগুলি মজুত রাখার নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে পরবর্তী মাসের বরাদ্দ মজুতের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পরবর্তী তিন মাসের অর্থাৎ জুন থেকে আগস্ট খাদ্যশস্য একসঙ্গে তুলে নিতে হবে। শুধু খাদ্যদ্রব্য তুলে নিলেই হবে না খাদ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলোকে জানিয়েছে সেগুলি গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় তিন মাসের খাদ্য শস্য তুলে নিতে হবে। এই খাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রয়োজন হয় তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন চাল গম। অর্থাৎ এই অবস্থায় ৩০ শে মের মধ্যে ৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন চাল গম তুলে নিতে হবে ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এত পরিমান খাদ্যশস্য কোথায় রাখা হবে? এই পরিস্থিতিতে রেশন ডিলারদের প্রস্তাব, রেশন দোকানে একসঙ্গে তিন মাসের খাদ্যশস্য না দিয়ে তা কেন্দ্রীয় গুদামের মজুত রাখা হোক।
এদিকে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমন কিছু জেলা যেখানে জঙ্গল বেশি রয়েছে, সেখানে পুলিশকর্মীদের বেশি সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সুন্দরবন এবং উত্তরবঙ্গের এমন এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি হাসপাতালের সুপার্,সিএমওএই্ নার্সিং অধিকারীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ। আগামী দু মাসের জন্য সব রকমের প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনজেকশন রক্ত মজুর রাখতে বলা হয়েছে ।
