নেত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চলছেই তৃণমূলে

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে দলকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন দলের কে কোথায় কী করেন কী লেখেন সব কিছুতেই তিনি নজর রাখেন। অনেকেই লেখেন তিনি দল নয় অমুক দাদার গোষ্ঠী করেন।মমতা এঁদের সতর্ক করে বলেছিলেন মনে রাখবেন দল না থাকলে কেউ সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলার বা পঞ্চায়েত সদস্য কিছুই হতে পারতেন না।জোড়াফুলই দলের একমাত্র নেতা। এই প্রসঙ্গেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন দলে কোনও রকম গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। রাত পোহাবার আগেই নেত্রীর কথাই সার বলে প্রমাণ করলেন তৃণমূলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের দিকেই মীনাখাঁ এলাকায় দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মোট ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মহিলাও আছেন। আহতের দু জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। একদিকে মীনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের দল অন্যদিকে হাড়োয়ার যুব সভাপতি খালেক মোল্লা এবং ব্লক সভাপতি ফরিদ জমাদারের গোষ্ঠী। এই দুই দলের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে।প্রায়ই দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার ফল ভোগ করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বৃহস্পতিবারও সেই রকম গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়।এই ঘটনায় আহত হন পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুর রউফ মোল্লা। তিনি নিজেক খালেক মোল্লা এবং ফরিদ জমাদেরের অনুগামী বলে পরিচয় দেন।তাঁর অভিযোগ সন্ধ্যের সময় তাঁর কুলটির এক চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের দল তাঁদের ওপর হামলা চালায়। সেই সংঘর্ষেই মহিলা সহ আট জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছেন।