বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ফেডারেল সরকারের থেকে শিক্ষা বিভাগকে তুলে দেওয়ার একটি আদেশে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।হিসেব মত এর ফলে এবার থেকে শিক্ষা খাতে আর কোনও ব্যয় বরাদ্দ করবে না আমেরিকার কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ১৯৭৯ সালে আমেরিকার শিক্ষা দফতরকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।এ বার তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এখন থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার থাকবে আমেরিকার প্রদেশ বা স্টেটগুলোর উপরে। স্থানীয় প্রশাসনই এ বার আমেরিকার শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামাবে।
আমেরিকার সিস্টেম অনুযায়ী শিক্ষাক্ষেত্রে মার্কিন ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল আসে ফেডারেল কোষাগার থেকে, বাকি অর্থসাহায্য করা হয় রাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের তরফে। কিন্তু সেটাই শেষ নয়, এরপরেও নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।অনেকেই মনে করছেন শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকারের ভূমিকা অপরিহার্য।
ডেমোক্র্যাট এবং অন্যান্য শিক্ষাবিদরা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট চাক শুমার এটিকে ‘অত্যাচারী ক্ষমতা দখল’ এবং ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি’ বলে অভিহিত করেছেন।তবে ডানপন্থী থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।