বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে পাওয়া একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।এবার সেই বাংলাদেশে একুশের শহিদ মিনারেই শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে উঠে এল অসৌজন্যের ছবি, যা বলা হচ্ছে বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যেমে প্রকাশ রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দেওয়ার পর পরই সরকার প্রধান পুষ্পস্তবক দেবেন ও শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর দু’জনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করবেন। ১৯৭২ সাল থেকে এটাই রেওয়াজে পরিনত হয়েছে।কিন্তু এবছর তা হয় নি। তথ্য অনুযায়ী রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে চলে যাওয়ার মিনিট সাতেক পর আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস।
পাশাপাশি এদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানানোর সময়েই কিছু দূরে তাঁর বিরুদ্ধে একদল ছাত্রকে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। কেন এমন একটা সময়ে রাষ্ট্রপতির বিরোধীতা করা ছাত্রদের রোখা গেল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।বিভিন্ন খবরে প্রকাশ রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন আওয়ামি লিগ সরকারের নির্বাচিত হওয়ায় ভাষা দিবসে শহিদ মিনারে তাঁকে না যাওয়ার নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল।তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ।যদিও এসব সত্ত্বেও শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিতে যান রাষ্ট্রপতি নিজেই।
বাংলাদেশে একুশের শহিদ মিনারে নজিরবিহীন ঘটনা, মিলল অসৌজন্যের বার্তা
