Published by Subrata Halder 23rd may 2025, 9:37 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ভোটের স্লিপ না নিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন ? ভোটার তালিকায় আপনার নামের ক্রমিক সংখ্যা কত ছিল সেটাও মনে নেই ? ভাবছেন ভোট দেবেন কি করে ? এই সমস্যার সমাধানে এবার নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কারে ফের নতুন উদ্যোগ নিল নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ভোটারদের সাহায্যকারী সহকারি বুথ থাকবে। যেখানে গিয়ে চটজলদি আপনি ভোটার তালিকায় আপনার নাম কত নম্বরে আছে বা আপনার পরিজনদের নামের বিশদ বিবরণ পেয়ে যাবেন সরকারি আধিকারিকদের মাধ্যমেই। সাধারণত যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একাধিক ভোটের বুথ থাকে সেখানেই সরকারি আধিকারিকদের এ ধরনের ভোটারদের সহায়তা কেন্দ্র থাকার চল রয়েছে। কিন্তু যেখানে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, একটি বুথ বা খুব বেশি হলে তার সঙ্গে একটি সাহায্যকারী বুধ। সেই ধরনের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে এই ধরনের উদ্যোগ কমই দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ না নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যথেষ্ট বিপত্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। বিশেষ করে প্রবীন বা বয়স্ক ভোটারদের অসুবিধা ব্যাপকভাবেই চোখে পড়ে। এ ব্যাপারে বিগত কয়েক বছরে একাধিক নির্বাচনে দেশজুড়ে অভিযোগ আকারে নানা প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছিল। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এবার নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে কমিশন।
শুধু ভোটার সাহায্যকারী বুথ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নয় ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে গিয়ে ভোটারদের যে সমস্যায় পড়তে হয় তারও সমাধানের চেষ্টা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটের বুথের মধ্যে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। ভোট নামে প্রক্রিয়াকে গোপন রাখতেই বরাবর এই সিদ্ধান্ত বজায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও বর্তমান যুগে মোবাইল ছাড়া অচল জীবনযাত্রায় দীর্ঘক্ষণ ভোটের লাইনে মোবাইলহীন হয়ে দাঁড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে মোবাইল যখন জীবনের জরুরী পরিষেবার অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেক্ষেত্রে ভোট দিতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ছাড়া থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাররাই। কিন্তু ভোটের বুথে মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাধ্য হয়েই মোবাইল ছাড়াই ভোটে বুথমুখী হতে হয় ভোটারদের। কারণ মোবাইল কোথায় রাখবেন কার কাছে দেবেন সেই সংশয়ের কারণেই মোবাইলহীন হয়ে পড়েন ভোটাররা। এবার এই সমস্যারও সমাধান করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে ভোট বুথে ঠিক বাইরে চটের ব্যাগে অথবা নির্দিষ্ট বাক্সে ভোটারদের মোবাইল জমা রাখার ব্যবস্থা থাকবে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী বা নির্বাচন কর্মী এই মোবাইল জমা রাখার দায়িত্বে থাকবেন। তবে মোবাইলটিকে সুইচ অফ মোডে রাখতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন পদ্ধতিতে বেশকিছু সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটারদের সুবিধা এবং ভোটদানের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে ফের সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করল কমিশন।
