কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বরাদ্দ পেল রাজ্য সরকার, নবান্নে এল ৬৯৯ কোটি টাকা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনুদান হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীন প্রশাসন গুলির উন্নয়নের জন্য ৬৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই অর্থের মধ্যে ৬৯৪.৪৪৪৬ কোটি টাকা দ্বিতীয় কিস্তির এবং ৪.৯৩২৩ কোটি টাকা প্রথম কিস্তির বাকি থাকা অংশ। এই অনুদান রাজ্যের ২১টি জেলা পরিষদ, ৩২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রাপ্য তহবিল প্রদান করা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজস্ব অর্থে প্রায় ১২ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে।
মূলত ব্লক ও পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্যই এই অর্থ ব্যয় করা যাবে। শৌচাগার নির্মাণ থেকে শুরু করে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে এই তহবিল ব্যবহার করা হবে। জানা গিয়েছে, নবান্ন ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কোনো বরাদ্দ বরাদ্দ ফেলে না রেখে দ্রুত খরচ করা হয়।
নবান্ন সূত্রের খবর, এই অর্থ ব্যবহার করা হবে গ্রামীণ এলাকার পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান বা গ্রামীণ স্থানীয় সংস্থাগুলির চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য, তবে বেতন ও প্রশাসনিক খরচের জন্য ব্যয় করা যাবে না। অন্যদিকে, নির্ধারিত অনুদান টাইড গ্রান্টস ব্যবহার করা হবে স্যানিটেশন, খোলা শৌচমুক্ত ওডিএফ অবস্থা বজায় রাখা, গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য। এছাড়া পানীয় জল সরবরাহ, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের জন্য।
কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রক ও জলশক্তি মন্ত্রকের পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগ সুপারিশের ভিত্তিতে অর্থ মন্ত্রক এই অর্থ বরাদ্দ করে। প্রতি অর্থবর্ষে দুই কিস্তিতে এই অনুদান ছাড়া হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এই অর্থ ছাড় রাজ্যের জন্য স্বস্তির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই অনুদান গ্রামীণ স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে, তার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং গ্রামগুলির স্বনির্ভরতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।