বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বুধবার বিতর্কিত ‘আয়নাঘর’ ঘুরে দেখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। তাঁর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ভুক্তভোগীদের কয়েকজন সেখানে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে বিরোধী মতের বহু বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে অভিযোগ ওঠে। সেইসব বন্দিশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।দেশের বিভিন্ন জাগায় আরও আয়নাঘর আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ শুনলাম আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০।
‘আয়নাঘরে’ ঢুকে বিভিন্ন গোপন কক্ষ পরিদর্শন করেন ইউনূস। আয়নাঘর পরিদর্শন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বলেন, “আমাকে নতুন করে বলতে হবে না। বর্ণনা দিতে গেলে বলতে হয়—আয়নাঘরের ভেতরে খুবই বীভৎস দৃশ্য। এখানে মনুষ্যত্ববোধের কিছু নেই। যা হয়েছে তা নৃশংস।”
বাংলাদেশের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে আয়নাঘরে যে পরিবেশে মানুষকে আটকে রাখা হয়েছিল তা দেখে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এটা কি আমাদেরই সমাজ? এটার কোনো ব্যাখ্যা নাই। যতটাই শুনি, অবিশ্বাস্য মনে হয়। যারা নিগৃহীত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে এসেছে, তাদের মুখেই শুনলাম। বিনা দোষে কতগুলো সাক্ষী নিয়ে, হাতে এক্সপ্লোসিভ ধরিয়ে দিয়ে কাউকে সন্ত্রাসী-জঙ্গি বলে রাখা হয়েছে।”
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে এই আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় আয়নাঘর নামক একটি গোপন কারাগার কক্ষে তাকে কীভাবে গোপনে বন্দী করে নির্যাতন করা হয়েছিল, তার বর্ণনা দিয়েছেন উপদেষ্টা এবং ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম।
এবার হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি ভাঙতে আয়নাঘর সামনে আনলেন ইউনূস
