ডিটক্স কি? ডিটক্সিফিকেশন কখন করবেন, কেন করবেন?

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ডিটক্স বা ডিটক্সিফিকেশন হল শরীর থেকে ক্ষতিকারক বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর করার প্রক্রিয়া। ভারসাম্য রক্ষা, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বাড়ানো এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য ডিটক্সিফিকেশন অপরিহার্য বলেই মনে করেন অনেকে।এটি সাধারণত বিভিন্ন ডায়েট,পানীয়, বা জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে করা হয়।ডিটক্সের উদ্দেশ্য হল শরীরকে পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্য উন্নত করা। যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে পুরো শরীরের ডিটক্সি ফিকেশন প্রয়োজনীয়, অন্যরা বিপরীত মনে করে।

ডিটক্সের সাধারণ পদ্ধতি

ডিটক্স ডায়েট: কিছু নির্দিষ্ট খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা, যেমন ফল, শাকসবজি, জুস, এবং প্রচুর জল পান করা। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ক্যাফেইন, এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।

জুস ক্লিন্স: কয়েক দিন শুধুমাত্র তাজা ফলের রস (জুস) বা সবজির জুস পান করা। এটি শরীরকে বিশ্রাম দেয় এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

হারবাল টি এবং সাপ্লিমেন্টস: কিছু হারবাল চা বা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা হয়, যা লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম এবং সোয়েটিং: ব্যায়াম করে ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বের করা।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপবাস রাখা, যা শরীরকে টক্সিন দূর করতে এবং কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে।

ডিটক্স বা আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করলে তা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এর সুবিধে গুলো হল-
শক্তি বৃদ্ধি করা
হজমশক্তি উন্নত করা
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করা
ওজন কমানো
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা

তবে ডিটক্স করতে গেলে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। ডিটক্স পদ্ধতি সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে, বিশেষ করে যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। ডিটক্স শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ডিটক্সের মাধ্যমে শরীরকে পরিষ্কার করার ধারণাটি জনপ্রিয় হলেও,এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কিন্তু সীমিত। শরীরের নিজস্ব প্রক্রিয়ার (যেমন লিভার, কিডনি) মাধ্যমেই টক্সিন দূর করার জন্য কাজ হয়। তাই অনেকে মনে করেন একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে।