বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের কথা বলার সুযোগ না দেওয়া এবং মার্শাল ব্যবহার করে তাদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবন অভিযান করলো বিজেপি পরিষদীয় দল।
বুধবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন এবং বিক্ষোভ দেখান। পরে তারা অধিবেশন বয়কট করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে মিছিল করেন।
রাজভবনে পৌঁছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গভর্নর সি. ভি. আনন্দ বোসের সিনিয়র অফিসারের হাতে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সহ্য করতে পারেন না। তাই কখনও বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেন, কখনও বিধায়কদের ওপর জুলুম করা হয়। আজ তো বিধানসভার ভেতর আমাদের বিরুদ্ধে মার্শাল ব্যবহার করা হয়েছে।
তার ক্ষোভ, বাংলার সাধারণ মানুষ সব দেখছে। ২০২৬ সালে মানুষ এর জবাব দেবে। এই নির্যাতনের ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের
পতন হবে।
শুভেন্দুর অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাদের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়,এই রাজ্যেও ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভাঙা হচ্ছে, প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার চুপ করে রয়েছে।
হিন্দুরা বিজেপির পাশে, ২০২৬ সালে পাল্টাবে সমীকরণ,
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা বিজেপিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বুঝতে পারবে হিন্দুদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করার কী মূল্য দিতে হয়। এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। পরে তাঁরা অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন।
বিধানসভায় অপমানের অভিযোগ, বিজেপির রাজভবন অভিযান
