বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয়ে অধিবেশন। বিধানসভা বা লোকসভায় রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। সংসদের দুই কক্ষের যুক্ত সভায় ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। রাজ্য বিধানসভায় একটি কক্ষ হওয়ায় সেখানেই লিখিত ভাষণ পাঠ করেন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের ভাষণ লিখে দেয় সরকার। সেই ভাষণ পাঠ করাই সংসদীয় রীতি বা প্রথা। সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণের বহু অংশ বাদ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।যদিও রাজভবান সূত্রে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।রাজভবন সূত্রে জানানো হয় কোনও বিতর্কিত বিষয়ে তারা মন্তব্য করবে না। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই তিনি পাঠ করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।এদিন রাজ্যপাল বাংলাতে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন। যদিও তাঁর ভাষণের মাঝে মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী এবং অগ্নিমিত্রা পাল তাঁর ভুল শুধরে দেন। শুভেন্দু দাবি করেন রাজ্য সরকার বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে। এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শুভেন্দুর দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে সব কথা তাঁর ভাষনে লেখা ছিল তা তিনি পড়বেন না বলে লিখিত ভাষণ ফেরত পাঠানো হয়। পরে তা শুধরে দেওয়া হলে তিনি সেই ভাষণ পড়তে রাজি হন। রাজ্যপালের ভাষণে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খুব কঠোর কিছু লেখা না থাকলেও কেন্দ্র যে টাকা দিচ্ছে না তার উল্লেখ ছিল এবং রাজ্যপাল তা পাঠও করেছেন।এদিকে রাজ্যপা্লের ভাষণে আর জি কর কাণ্ডের উল্লেখ না থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা বিধায়করা।