কোন কিছুতে যু’ক্ত হওয়া বা একমুখী আসক্তির নামই যোগ। তুমি যদি যোগী হ’তে চাও তাহ’লে তোমাকে কোন আদর্শ, সদগুরু বা কোন প্রিয়পরমে ঐ ভালোবাসা বা আসক্তি দিয়ে এমনতরভাবে যুক্ত হ’তে হবে যাতে তুমি সব সময় সর্বতোভাবে একটা নিনড় চলায়মান তৃপ্তি নিয়ে চলতে পারো বা থাকতে পারো–সে তোমার অটুট থাকলে দুনিয়ায় আর তোমার কিছুরই প্রয়োজন নাই ঠিক এমনতর হ’য়ে। আর–ওরই সাথে সাথে তাঁর ইচ্ছা ও চাহিদার পরিপূরণ করে তাঁকে তুষ্ট ও পুষ্ট করার সন্দীপ্তিময়ী চাহিদা দাউ-দাউ ক’রে জ্বলে তোমার অন্তরকে এমন ক’রে তুলবে–যা’তে কাজে তার বাস্তব পরিণতি না ক’রে কিছুতেই তুমি থাকতে পার না। আর এর থেকেই তা’ করার কলকৌশল এৎফাকিবুদ্ধি পারিপার্শ্বিক দুনিয়াকে তেমনি- ভাবে নিয়ন্ত্রিত ক’রে তা’ পরিপূরণ করার যা’ কিছু রকম তোমার চিন্তা ও চরিত্রে ফুটে উঠে’ তোমাকে তদানুপাতিক উদ্ভাসিত ক’রে তুলবে–আর তুমি পারবেও তা’ অনায়াসে এই জন্যেই বলে “যোগ: কর্মসূ কৌশলম।” ‘সত্যানুসরণ’