সৎ যেখানেই মাথা তোলা দেয়, অসৎ সেখানেই তাকে নিকেশ করে দিতে চায়। অসৎ যা’তে সৎকে পরাভূত করতে না পারে, সেজন্য হয় তাকে নিয়ন্ত্রণ করা লাগে, না হয় তাকে হতবল করা লাগে। রোগের বল যদি বাড়তে দেন, জীবনের বলকে তা’ ক্ষুণ্ণ করবেই। তাই খারাপের সমর্থন কিছুতেই করতে নেই। খারাপকে অঙ্কুরেই নিকেশ না করলে পরে তা’ হাতের বাইরে চলে যায়। খারাপ মানে খারাপ প্রবৃত্তি-পরায়ণতা। নিজের খারাপটাকেও রেহাই দেবেন না, অন্যের খারাপকেও না। এই খবরদারী যদি না করেন, হুঁশিয়ার যদি না থাকেন, অতর্কিতে আক্রান্ত ও বিধ্বস্ত হতে হবে। সৎ-এর পোষণ যেমন সক্রিয়ভাবে করতে হবে, অসৎ-এর নিরসনও তেমনি বাস্তবে করতে হবে অস্খলিতভাবে। এই দুটোর কোন একটার প্রতি উদাসীন যদি থাকেন, এবং তার প্রস্তুতি যদি শিথিল হয়, তবে তার খেসারত দিতেই হবে। ……..
(আলোচনা-প্রসঙ্গে ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৩ থেকে)
।। অসতো মা সদ্গময় ।।
![অমৃত কথা](https://bangobarta.com/wp-content/uploads/2024/12/amrito-1.jpg)