।। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সূত্র ।।

“আমি চাই United world ( ঐক্যবদ্ধ জগৎ )। তার প্রাথমিক ধাপ হ’ল ভারত ও পাকিস্তানের মানুষগুলিকে পরস্পরের মঙ্গলের জন্য বদ্ধপরিকর ক’রে তােলা। ভারতই পারবে জগৎকে বাঁচাতে। হিংসার পথে যাবে না। কেউ যদি হিংসা বাধাতে চায় সমীচীন পন্থায় তা’ ব্যাহত ক’রে দিতে হবে। আমি যদি নাও থাকি, আমার বইগুলিতে সব পাবে। সেই অনুযায়ী যেখানে যা’ করণীয় তা’ করবে। হাউড় তুলতে পারে, বক্তৃতা দিতে পারে, ব্যক্তিগুলির পিছনে লেগে থাকতে পারে এমনতর ইষ্টৈকপ্রাণ, নিরাশীনির্মম, তপস্যাপরায়ণ লােক চাই, যাদের সংস্পর্শে মানুষগুলি concentric (সুকেন্দ্রিক) হ’য়ে উঠবে। সব শ্রেণীর মধ্যে, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে দীক্ষিতের সংখ্যা সমান তালে বাড়ান লাগবে। প্রত্যেকে যেন বােধ করতে পারে যে সৎসঙ্গের মধ্যে আছে তার fulfilment ( পরিপূরণ )। যার যেখানে যে খাঁকতি আছে, তার নিরসন যেন হয় তােমাদের দিয়ে। তােমরা যেন মনুষ্যজাতির বাঁচাবাড়ার রসদদার হয়ে উঠতে পার। তখন দেখবে পরমপিতার নামে স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যের উপর দাঁড়িয়ে কাতারে কাতারে মানুষ unified ( ঐক্যবদ্ধ ) হয়ে উঠছে। হবে—হবে—হবে। একটা religious flood ( ধর্মের বন্যা) সৃষ্টি ক’রে ফেল–ধর্ম, অর্থ, কাম, মােক্ষ—চতুর্বর্গ আপামর সাধারণকে আলিঙ্গন করবে।”
(আ: প্র:, সপ্তদশ খন্ড, ইং ২৫. ৪. ১৯৪৯)