।। স্মৃতিবাহীচেতনা ।।

বৃত্তি থাকে, বৃত্তিরই শরীর। প্রত্যেকটা cell (কোষ)-এরই ectoplasmic state (সূক্ষ্ম অবস্থা) আছে। মৃত্যুর পরও সেই ectoplasmic cell (সূক্ষ্ম কোষ)-গুলি intact (অক্ষত) থাকে। তাকে বলে চিন্ময়দেহ, ভাবদেহ। তার মধ্যেও complex (বৃত্তি)-গুলি থাকে, আর সেই অনুপাতিক হয় পরজন্ম।
মৃত্যুর সময় প্রথমে গভীর আঁধার আসে, তারপর dazling light (চোখ ধাঁধান আলো) আসে, তারপর প্রচণ্ড ঢং ঢং শব্দ হয়। ওই শব্দের চোটে সব কিছু disconnected (বিচ্ছিন্ন) হ’য়ে যায়।
ওখানে যে stand (সহ্য) করতে পারে, তার continuity of consciousness (চেতনার ক্রমাগতি) ঠিক থাকে। নচেৎ কেটে যায়।
ইষ্টের উপর গভীর টান থাকলেই তখন consciousness (চেতনা) retain করতে (বজায় রাখতে) পারে। আমাদের জীবদ্দশায়ও আমরা দেখতে পাই ইষ্টের উপর অত্যন্ত নেশা থাকলেই রোগ, শোক, দুঃখ, দারিদ্র, অপমান, আশাভঙ্গ, প্রতিকূল পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকের দুরন্ত সংঘাত ও প্রবৃত্তির প্রবল উত্তেজনার সম্মুখীন হ’য়েও ইষ্টচেতনার জোরে আমরা অনেকখানি আত্মস্থ ও অবিচলিত থাকতে পারি। নইলে আমাদের বিবেকবুদ্ধি, চেতনা ও নীতিবোধ কোথায় যেন ভেসে চলে যায়।
(আলোচনা প্রসঙ্গে, ১১/১৮. ৩. ১৯৪৮)