Published By Subrata Halder, 08 May 2025, 11:40 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্যে যেন কোনোভাবেই কালোবাজারির সুযোগ না তৈরি হয়, সেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের বাজার পরিস্থিতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজেদের ভাণ্ডার প্রস্তুত রাখতে হবে ঠিকই, কিন্তু কেউ যেন এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত মুনাফার চেষ্টা না করে। তা নাহলে প্রশাসন এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবে। নবান্নের
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আলু, পটল থেকে শুরু করে কাঁচালঙ্কা সব কিছুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। ফলে সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়েনি।
সরকার চায় বাজার স্থিতিশীল থাকুক। নিয়মিত বাজার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। প্রয়োজনে ফের বৈঠক ডাকা হবে। সবাই যেন দেশটাকে নিজের বাড়ি মনে করে দায়িত্ব পালন করেন, এক্ষেত্রে কারো খামতি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষ যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যদি দায়িত্বে গাফিলতি করে, প্রশাসন তাকে ছাড়বে না। সরকারি অফিসারদের নজরদারি করতে হবে। কোথায় মানুষ কী সুবিধা পাচ্ছেন, তার খোঁজ নিতে হবে। সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে।
মাছ-মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৎস্য দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেন, মাছের দাম কমাতে হবে। ৭০০টি পুকুর ও ফিশারিজের কী অবস্থা জানতে চাই। ফিসারিজ ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে না ঠিকঠাক। বিপ্লব বাবু পলিসি ডিসিশনে মাথা গলাবেন না, বলে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাছ চাষে ২.৫ বছরে কেন কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। একটা ছোট মাছ বড় হতে তো ২ বছর লাগে। ছোট মাছ ছেড়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে না তো? মাছ সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ তৈরি হচ্ছে না কেন? ময়না ও নলবনের সরকারি ভেড়িগুলির বর্তমান অবস্থা জানতে চান তিনি।
একইভাবে মাংস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন মাংসের দাম বেশ চড়া। এই দামটা যাতে কমে তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে হাঁসের মাংস যাতে বিক্রি করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের তরফ থেকে হাঁসের ফার্ম করে দেওয়া হচ্ছে। কেন সেই মাংস গুলি বিক্রি করা হচ্ছে না। সেগুলি যাচ্ছে কোথায়? প্রয়োজনে হাঁসের মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ, কিছু লোক ব্যক্তিগতভাবে করে খাচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের সুফল সর্বজনের কাছে পৌঁছচ্ছে না। সরকার যা চায়, তা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে না। এটা চলতে পারে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
Mamata