বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
চেন্নাই এক্সপ্রেসের ধাক্কায় নিভে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে ঢোকার ক্ষীণ সম্ভাবনা। মরসুমের জঘন্যতম খেলে তিন গোলে অসহায় আত্মসমর্পন। ফুটবলারদের খারাপ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দলগঠনের ভুলও সামনে এসেছে এবং ভুল দলগঠনের কথা অস্কার ব্রুজো স্বীকার করেছেন। তার কথায়
সউলদের বোধহয় এতটা সময় খেলানো উচিত হয়নি। গত ম্যাচের দলটাকেই এই ম্যাচে নামালে বোধহয় ভাল হত। চোট সারিয়ে ফেরা খেলোয়াড়দের শেষ দিকে নামালে বোধহয় ভাল হত। ওরা প্রায় সব ডুয়াল, সেকেন্ড বল, দৌড়ে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। ওরা আজ আমাদের চেয়ে গতি, শক্তি ও আগ্রাসনে এগিয়ে ছিল। প্রথমার্ধে আমরা ওদের খেলার তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারিনি। ধারাবাহিকতার অভাব এ মরশুমে আমাদের এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। আজ অনেক ব্যক্তিগত ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে বসা হবে। কিন্তু অবশেষে এই হার দলের। জিতলে যেমন দলই জেতে, হারলেও তো দলই হারে । দল নির্বাচন যে চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচে ঠিক হয়নি তা আলভিটো ডি কুনহা,বিকাশ পাঁজিদের মত প্রাক্তনদের মুখে শোনা গিয়েছে। বাকি পাঁচটি ম্যাচের সব কয়টি জিতলেও সর্বোচ্চ তেত্রিশ পয়েন্টে পৌঁছনো যে আর সম্ভব নয় তা বুঝে গিয়েছেন লাল হলুদ কোচ। তাই বাস্তবতা স্বীকার করে বলছেন, এখন থেকে আমাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়ে ভাবতেই হবে। এ বছর এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়াও সুপার কাপ আছে। জানি না, সেটা কবে হবে। আমাদের এখন লক্ষ্য আইএসএল টেবলের মাঝামাঝি জায়গায় থেকে শেষ করা এবং এএফসি কাপ ও সুপার কাপে সাফল্য। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে আমাদের। আজকের হার আমাদের মানসিক শক্তিতে বড় আঘাত হেনেছে। ঘরের মাঠে, আমাদের সমান পয়েন্ট পাওয়া একটা দলের কাছে হার। আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি রয়েছে। এখন ওই ম্যাচটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বারবার এই পদস্খলন। স্বপ্ন পূরনের সম্ভাবনার অপমৃত্যু। সমর্থকরা সমালোচনায় সরব। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। লগ্নিকারীর তরফে অন্যতম শীর্ষকর্তা বিভাস আগরওয়াল বলছেন তিনি ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন ভালো ফুটবল খেলা এবং সাফল্য নিয়ে আসার ক্ষমতা এই দলের রয়েছে। তাই বাকি পাঁচ ম্যাচের সাফল্য এবং আসন্ন এএফসি কাপ ও আইএসএলের বাকি পাঁচ ম্যাচকে পাখির চোখ করার কথা বলছেন বিভাস।
আশা শেষ লাল হলুদের
![](https://bangobarta.com/wp-content/uploads/2025/02/456d7c4a-8234-4d3f-8ff4-f35d732a9cf4.jpg)