“ভক্তি”

অমৃত কথা

সৎ-এ নিরবচ্ছিন্ন সংলগ্ন থাকার চেষ্টাকেই ভক্তি বলে।
বিশ্বাস যেমনতর, ভক্তি তেমনতরভাবে আসবে এবং জ্ঞানও তদনুযায়ী। বিশ্বাস যেমন অন্ধ হয় না, ভক্তিও তেমনই মূঢ়া হয় না। ভক্তিতে কোনকালে কোনরূপ দুর্ব্বলতা নেই। ভক্তই প্রকৃত জ্ঞানী, ভক্তিবিহীন জ্ঞান বাচকজ্ঞান মাত্র।
ভক্তি ভিন্ন সাধনায় সফল হওয়ার উপায় কোথায়? ভক্তিই সিদ্ধি এনে দিতে পারে।
তুমি যদি সৎচিন্তায় সংযুক্ত থাকতে চেষ্টা কর, তোমার চিন্তা, আচার, ব্যবহার ইত্যাদি উদার এবং সত্য হতে থাকবে আর সেই লক্ষণগুলিই ভক্তের।
ঐ মূলের দিকে অনুরক্তিই ভক্তি – আর ভক্তির তারতম্য অনুসারেই জ্ঞানেরও তারতম্য হয়। যতটুকু অনুরক্তিতে যতটুকু জানা যায়, ভক্তি আর জ্ঞানও ততটুকু হয়।
ভক্তি চিত্তকে সৎ-এ সংলগ্ন করতে চেষ্টা করে — আর তা–হ’তে যেরূপ উপলব্ধি হয় তাই জ্ঞান।
সঙ্কীর্ণতার নিকটে গেলে মন সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে এবং বিস্তৃতির নিকটে গেলে মন বিস্তৃতি লাভ করে, তেমনি ভক্তের নিকটে গেলে মন উদার হয়, আর যত উদারতা ততই শান্তি।
ভক্তি এনে দেয় জ্ঞান, জ্ঞানেই সর্ব্বভূতে আত্মবোধ হয়। সর্ব্বভূতে আত্মবোধ হ’তেই আসে অহিংসা, আর অহিংসা হ’তেই প্রেম। তুমি যতটুকু যে-কোনো একটির অধিকারী হবে, ততটুকু সমস্তগুলির অধিকারী হবে।
তুমি ভক্তিরূপ জল ত্যাগ ক’রে আসক্তি-রূপ বালির চড়ায় বহুদূর যেও না। দুঃখরূপ সূর্য্যোত্তাপে বালির চড়া গরম হ’লে ফিরে আসা মুশকিল হবে – অল্প উত্তপ্ত হ’তে হ’তে যদি না ফিরে আসতে পার তবে শুকিয়ে মরতে হবে। ‘সত্যানুসরণ’