
আরজি কর মামলায় ধৃত ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আরও বিপাকে পড়লেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালের পার্কিং লট থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। আরজি কর মামলায় ধৃত সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এমনই আদালতে দাবি করল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতে দাবি করে, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাইক পার্কিং থেকে টাকা তোলার কথা জানা গিয়েছে। সন্দীপের পাশাপাশি বাইক পার্কিংয়ের টাকা যেত এই মামলায় ধৃত সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আফসার আলির কাছেও। আফসারের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে হাসপাতালে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে সিবিআই। সন্দীপের সঙ্গেই ধরা পড়ে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আফসার। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই দাবি তোলে সিবিআই।
আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, বাইক পার্কিং থেকে তোলা টাকা সরাসরি সন্দীপ এবং আফসারের কাছে যেত। এই সংক্রান্ত একাধিক সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিবিআইয়ের বক্তব্য, নথি জাল করে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বরাত পেয়েছে আফসারের বেনামী সংস্থা। একাধিক ষড়যন্ত্রেও সন্দীপের সঙ্গে তিনি হাত মিলিয়েছিলেন। হাসপাতালের ভিতরে ক্যাফে তৈরি থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক যাবতীয় কাজ করার কথা পূর্ত দফতরের। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনকে না জানিয়েই সেই কাজগুলির বরাত আফসারের সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে সারা রাজ্য সহ গোটা দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদও হয়।