অভিষেকের সেবাশ্রয়ে আস্থা নেই বিমানের, প্রবীণ নবীন দ্বন্দ্ব ফের প্রকট

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কার দিকে পাল্লা ভারী। কে এগিয়ে আছে আর কে এককদম পিছিয়ে আছে। রাজনীতির দড়ি টানাটানির এই খেলায় জয় পরাজয় কার হবে সে নিয়েই এখন জোর আলোচনা। তবে এই মুহূর্তে জোর আলোচনা চলছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সেবাশ্রয় মেডিকেল ক্যাম্প নিয়ে। ইতিমধ্যেই এই ক্যাম্পে প্রায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষ এসেছেন। তারা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন। একজন সাংসদ এর এমন অভিনব উদ্যোগ আর কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়েছে। শুক্রবার এই সেবাশ্রয় ক্যাম্পে স্বাস্থ্য পরিষেবা শিবির কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখতে যান সাংসদ নিজেই।
আর এই একই দিনে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূল সাংসদ এর এই সেবাশ্রয় ক্যাম্পের সাফল্য নিয়েই খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে আয়োজিত, সেবাশ্রয় প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশাল কিছু পরিবর্তন আসবে তেমন কিন্তু নয়। এটা সাংসদের নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সরাসরি এই মন্তব্যকে আপাত নিরীহ মনে হলেও এর মধ্যে বিশেষ একটা তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ধরনের একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার তার নিজের মত করেই পরিষেবা দেবে। অভিষেক তার নিজের প্রচেষ্টায় একটা চেষ্টা করেছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সরকারি প্রয়াস ছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগে পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি না। সরকারি চিকিৎসা সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে,এমনটাই বলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায়, কোন ব্যক্তি মানুষ সরকারি চিকিৎসার দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে করবেন এটা কতটা সফল হবে সেটা আমি বলতে পারি না।
রাজনৈতিক মহল বলছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য এই কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ, অনেকেই বলতে শুরু করেছিল অভিষেকের সেবাশ্রয় সরকারি পরিষেবার পাশে একটা সমান্তরাল প্রয়াস। এই বক্তব্যে আদতে সেই সমান্তরাল প্রয়াসের বিরুদ্ধেই অনাস্থা দেখিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। যদিও এ ধরনের তুলনা প্রথম দিনই খারিজ করে দিয়েছিলেন অভিষেক। প্রথম দিনেই সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে তুলনায় ছেদ টেনে দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, রাজ্য সরকার যথেষ্ট করেছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি। হয়তো একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা হাসপাতাল আছে, আমি সেখানে চেষ্টা করেছি একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার।
কিন্তু এরপরেও অভিষেকের এই সেবাশ্রয়ের সঙ্গে সরকারি পরিষেবার তুলনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আজ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, অভিষেকের উদ্যোগ সাধুবাদ যোগ্য হলেও তার আস্থা সরকারি পরিষেবার ওপরেই। ঘুরিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপরই আস্থা দেখালেন স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। সেটাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেটার ফলে আর একবার প্রকট হয়ে উঠলো দলের অন্দরে প্রবীণ নবীন এর দ্বন্দ্ব।

আর এই একই দিনে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূল সাংসদ এর এই সেবাশ্রয় ক্যাম্পের সাফল্য নিয়েই খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এদিন তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে আয়োজিত “সেবাশ্রয়” মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশাল কিছু পরিবর্তন আসবে তেমন কিন্তু নয়। এটা সাংসদের নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সরাসরি এই মন্তব্যকে আপাত নিরীহ মনে হলেও এর মধ্যে বিশেষ একটা তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ধরনের একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার তার নিজের মত করেই পরিষেবা দেবে। অভিষেক তার নিজের প্রচেষ্টায় একটা চেষ্টা করেছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সরকারি প্রয়াস ছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ ধরনের উদ্যোগে পরিবর্তন আসবে তেমনটা আমি মনে করি না। সরকারি চিকিৎসা সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে এমনটাই বলছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন ব্যক্তিগত মানুষ সরকারি চিকিৎসার দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে করবেন এটা কতটা সফল হবে সেটা আমি বলতে পারি না।

রাজনৈতিক মহল বলছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য এই কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ, অনেকেই বলতে শুরু করেছিল অভিষেকের সেবাশ্রয় সরকারি পরিষেবার পাশে একটা সমান্তরাল প্রয়াস। এই বক্তব্যে আদতে সেই সমান্তরাল প্রয়াসের বিরুদ্ধেই অনাস্থা দেখিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। যদিও এ ধরনের তুলনা প্রথম দিনই খারিজ করে দিয়েছিলেন অভিষেক। প্রথম দিনই সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে তুলনায় ছেদ টেনে দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, রাজ্য সরকার যথেষ্ট করেছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি। হয়তো একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা হাসপাতাল আছে, আমি সেখানে চেষ্টা করেছি একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার।

কিন্তু এরপরেও অভিষেকের এই সেবাস্রয়ের সঙ্গে সরকারি পরিষেবার তুলনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আজ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, অভিষেকের উদ্যোগ সাধুবাদ যোগ্য হলেও তার আস্থা রয়েছে সরকারি পরিষেবার ওপরেই। ঘুরিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপরই আস্থা দেখালেন স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। সেটাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেটার ফলে আর একবার প্রকট হয়ে উঠলো দলের অন্দরে প্রবীণ আর নবীন এর দ্বন্দ্ব।