বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ভোটমুখী বাজেট। চারদিন পর দিল্লিতে ভোট আর বছরের শেষদিকে বিহারে। বিহারের নীতীশ কুমারের দলের মর্জির ওপর নির্ভর করছে মোদি সরকারের স্থায়িত্ব।বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে এই দুই বিষয় যে ভাল প্রভাব ফেলেছে তা অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে স্পষ্ট।
বুধবার অর্থাৎ পাঁচ তারিখ দিল্লির ভোট। বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আপ প্রধান কেজরিওয়াল আবার প্রাক্তন আই আর এস অফিসার। তাঁর বিলক্ষ্ণণ জানা আছে মানুষের মন কীভাবে জয় করা যায়। মোদি সরকারকে কিছুটা চাপে রাখতে দিল্লি ভোটের প্রচারে গিয়ে তিনি তাই দাবি তুলেছিলেন বাজেটে আয়করের ছাড় সাত লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দশ লক্ষ করা হোক। নির্মলা সীতারামন কেজরির দাবির চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে আয়কর ছাড়ের সীমা বারো লাখ টাকা করে দিলেন। এর সঙ্গেই থাকছে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ৭৫ হাজার টাকা। তাহলে মোট আয়কর ছাড়ের পরিমাণ দাঁড়াল বারো লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা।
দিল্লিতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মীর পাশাপাশি রয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা জওয়ান। যাঁরা প্রত্যেকেই এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। ফলে ভোটের মাত্র চার দিন আগে মোদি সরকারের এই উপহারের প্রতিফলন কি ভোট বাক্সে পড়বে না?
দিল্লির পাশাপাশি বিহারের ভোটও এ বছরেই হবে। তার ওপর সে রাজ্যে ক্ষমতাসীন নীতীশ সরকার আবার এন ডি এ সরকারের শরিক। যাদের মন-মর্জির ওপর নির্ভর করছে মোদি সরকারের স্থায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারের মন জয় করা মোদি সরকারের কাছে অনেকটা বাধ্যবাধকতার মধ্যেই পড়ে। সে চেষ্টার কসুর করেন নি সীতারামন। বিহারকে ঢেলে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে আবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বিজেপির কাছ থেকে বাংলার কিছুই পাওয়ার নেই। এ রাজ্য থেকে যখন বিজেপির ১৮ জন সাংসদ ছিল তখনও তারা বাংলাকে কিছু দেয় নি আর আজ যখন সাংসদ সংখ্যা কমে বারোতে দাঁড়িয়েছে তখনও দিল না। বাংলা সব সময়ই বঞ্চিত।তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট করা হয়নি । ভোটের দিকে তাকিয়ে বাজেট করা হয়েছে। গতবার অন্ধ্রপ্রদেশের ভোট ছিল তাই তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল এবার তা দেওয়া হল বিহারকে।
আয়কর ছাড় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন এই বিষয়ে এখনই কিছু বলবেন না। বাজেট খতিয়ে দেখে তা নিয়ে মন্তব্য করবেন।