স্যাটেলাইট ডকিং, নতুন ইতিহাস ভারতের মহাকাশ গবেষণায়

বঙ্গবার্তা ব্যুরোঃ আগে থেকে মহাকাশে পাঠানো দুটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে মিলিয়ে দিল ইসরো, বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে স্পেস ডকিং প্রক্রিয়ায় সাফল্য পেল ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার স্পেস ডকিং-এর সাফল্য দেশের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। মহাকাশে দুটি উপগ্রহের স্বয়ংক্রিয় ডকিং প্রক্রিয়া ভারতের মহাকাশ দক্ষতার একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকল।এই সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এই স্বয়ংক্রিয় ডকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরোর দুটি উপগ্রহ মহাকাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।এটি অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি, যা পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশযানের মধ্যে নিরাপদ এবং সফল সংযোগ নিশ্চিত করে। স্পেডেক্স সফল হওয়ার ফলে ভবিষ্যতে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির সম্ভাবনা আরও সুদৃঢ় হল। এই প্রযুক্তি মহাকাশে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা এবং মিশনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারত এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করা চতুর্থ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর শ্রীহরিকোটার পিএসএলভি সি – ৬০ মিশনের মাধ্যমে দুটি উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। প্রথম ধাপে দুটি উপগ্রহকে ১৫ মিটার এবং পরে ৩ মিটারের দূরত্বে এনে ডকিংয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। এই সাফল্যের পর অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং মডিউল যুক্ত করা হবে, যা মহাকাশ স্টেশনের কাঠামো তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। ডকিং এবং আনডকিং প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও ভারতের ভূমিকা প্রসারিত করবে।
এই সাফল্য ইসরোকে বিশ্বস্তরে মহাকাশ গবেষণায় আরও সম্মানিত করেছে এবং এটি প্রমাণ করে যে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সীমিত সম্পদের মধ্যেও জটিল প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব করতে সক্ষম। এটি শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের নয়, বরং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।