বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
আইএসএল-এর শেষ ম্যাচেও হারলো ইস্টবেঙ্গল। শিলং-এ শেষ ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ০-৪ গোলে হারল বিনো জর্জের দল। গোটা ম্যাচে প্রায় কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি লাল-হলুদ। গোটা ম্যাচেই প্রভাব দেখিয়ে গিয়েছে নর্থইস্টের ছেলেরা। গোলকিপার দেবজিত ঘোষ না থাকলে লজ্জা আরও বাড়ত ইস্টবেঙ্গলের।
প্রথম দলের প্রায় কোনও ফুটবলার না থাকায়, সমস্যা বাড়ে। একের পর এক আক্রমণের সামনে দেবজিত পরপর সেভ করতে থাকেন না হলে ব্যবধান ৬ শূন্য হতে পারত। প্রথমার্ধে পিভি বিষ্ণুর একটা সুযোগ ছাড়া, গোল করার সে রকম কোনও সুযোগই পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে আলাদিনের পাস থেকে গোল নেস্টরের, ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে পড়ে ০-১ গোলে। ৬৬ মিনিটে আলাদিন আজারেইয়ের গোলে ব্যবধান বাড়ায় নর্থ ইস্ট। ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে যায় ০-২ গোলে।
এখানেই থেমে থাকেনি নর্থইস্ট, ৭৯ মিনিটে পেনাল্টিতে আলাদিনের আরও এক গোল।
৩ গোলে এগিয়ে যায় পেড্রো বানালির দল। ৮৬ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান মহমদ আলি ব্রেমামার। তার আগেই ইস্টবেঙ্গলের তুহিন দাস লাল কার্ড দেখে বাইরে চলে যান। ফলে সম্মান বাঁচানোই দায় হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের সামনে।
তবে এদিন বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে নর্থ-ইস্টের ডিফেন্ডার রবিন যাদব ইস্টবেঙ্গল গোলপোস্টের সামনে হেড দিয়ে বলটা নামাতে গিয়েছিলেন। সেইসময় বলটা তাঁর মাথায় লাগার পর স্পষ্ট হাতে স্পর্শ করে। কিন্তু, এই হ্যান্ডবলটি রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। এরপর রবিন গোলমুখী শট নেন। কিন্তু, প্রথম ধাক্কাটা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। কিন্তু, সেই ফিরতি বলে ফের শট নেন আলাদিন। তাঁর ডান পায়ের শট একেবারে বক্সের মাঝ বরাবর ঢুকে যায়।
এরপর ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা রেফারির কাছে এসে হ্যান্ডবলের কথাটি জানান এবং গোল বাতিলের অনুরোধ করেন। ম্যাচ রেফারি সেই আবেদনে শোনেন নি।
চার গোল খেয়ে থামল ইস্ট বেঙ্গল
