বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
পঞ্জাব এফসিকে তাদের মাঠে ৩-১ গোলে হারানোর পরে ২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এখন দশনম্বরে। ফের উঠে আশা জাগিয়ে রাখা। এবার ঘরের মাঠে হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে খেলা। জয় তুলে নিতে পারলে প্রথমবার জয়ের হ্যাটট্রিক শুধু ইস্টবেঙ্গল করবে না,একই সঙ্গে আইএসএলে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট সংগ্রহের নজির গড়বে। এর আগে ইস্টবেঙ্গল কখনও পঁচিশ পয়েন্টের লক্ষনরেখা টপকাতে পারেনি।
রক্ষনে আনোয়ার আলির সঙ্গে হেক্টর ইউস্তে শুরু করলেও প্রতিপক্ষের আক্রমনে চাপে তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন অস্কার ব্রুজো। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরলেও সচ্ছন্দ ছিলেন না ইউস্তে। অবস্থা সামাল দিতে অস্কার বদল করেন ইউস্তেকে। পরিবর্তে প্রভাত লাকড়াকে নামিয়ে লালচুঙনুঙ্গাকে জুড়ে দেন আনোয়ারের সঙ্গে। ভারতীয়দের দিয়ে গঠিত লাল হলুদ রক্ষন বাকি সময় নির্ভরতা দিল। অনবদ্য খেললেন লালচুননুঙ্গা। একইভাবে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে মেসি বাউলি, পিভি বিষ্ণু জুটি।
১৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল ইস্টবেঙ্গলের। মেসি বাউলির পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন দিয়ামানতোকোস। গোলে ফিরলেন তিনি। এরপর আরও দুটো সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন এবং আরেকটি ক্ষেত্রে পোস্ট গ্রীসের স্ট্রাইকারের গোল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বিরতির পর ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এবার গোল মহেশ নওরেম সিংয়ের। ৪৭ মিনিটে মেসি বাউলির বাড়ানো বল থেকে নেওয়া পিভি বিষ্ণুর শট পঞ্জাব ডিফেন্ডাররা রুখে দিলে ফিরতি বল জালে পাঠান নওরেম। সাত মিনিট পরে ৫৪ মিনিটে তৃতীয় গোল ইস্টবেঙ্গলের। নিশু কুমারের কর্নার থেকে বল পেয়ে বিষ্ণুর শট প্রতিহত হলে জটলা মধ্যে থেকে তা জালে পাঠান চুননুঙ্গা।
৬২ মিনিটে ভিদাল ব্যবধান কমান ঠিকই কিন্তু তিনি এবং তার দলের বাকিরা ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। প্রথম সাক্ষাতে দুগোলে পিছিয়ে পড়ে চার গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার তিন গোলে পঞ্জাব মেলকে দুমড়ে দিল। তা সত্ত্বেও আশা থাকলেও পূরণের সম্ভাবনা কঠিন।
কোমা থেকে ভেন্টিলেশনে এলো ইস্ট বেঙ্গল
